Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

লিবিয়ায় তুরস্কের ভূমিকা সহ্য হচ্ছে না ফ্রান্সের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০২০, ৪:১৪ পিএম

লিবিয়ায় তুরস্কের সামরিক হস্তক্ষেপ সহ্য করবে না ফ্রান্স। সোমবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ এই কথা জানান। তিনি আঙ্কারার বিরুদ্ধে ‘বিপজ্জনক খেলা’ খেলার অভিযোগ করেন।

তুরস্ক সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে লিবিয়ায় সামরিক সহযোগিতা বাড়িয়েছে, ত্রিপোলির জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকারকে বিদ্রোহী সামরিক নেতা খলিফা হাফতারের এক বছরের দীর্ঘ আক্রমণ প্রতিহত করতে সাহায্য করার জন্য সিরিয়া থেকে বিমান সহায়তা, অস্ত্র এবং মিত্র যোদ্ধা সরবরাহ করেছে।

প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে খুব স্পষ্ট করে বলার সুযোগ পেয়েছি যে, আমাদের বিবেচনায় তুরস্ক লিবিয়ায় একটি বিপজ্জনক খেলা খেলছে এবং বার্লিন সম্মেলনে করা সমস্ত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে।’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুর দিকে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে লিবিয়া নিয়ে একটি শান্তি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘লিবিয়ায় তুরস্ক যে ভূমিকা পালন করছে তা আমরা সহ্য করব না।’

ত্রিপোলি সরকারের পক্ষে তুরস্কের সহায়তা লিবিয়ার রাজধানী এবং দেশের পশ্চিমাঞ্চলকে হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ) এর বিরুদ্ধে সুরক্ষিত করেছে। হাফতারকে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর এবং রাশিয়া সমর্থন করছে।

এর আগে, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর অধীনস্থ এক কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেছেন, লিবিয়ায় বেশ আগ্রাসী ও অগ্রহণযোগ্য আচরণ করছে তুরস্ক। তিনি এও বলেছেন, ন্যাটোভুক্ত দেশটির সঙ্গে আলোচনায় বসতেও রাজি আছে ফ্রান্স। আংকারা ও প্যারিসের চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে সোমবার কথাগুলো বলেন তিনি।

মিডল ইস্ট মনিটরের বলছে, সম্প্রতি লিবিয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকোর্ডকে (জিএনএ) সমর্থন দেয় তুরস্ক। এরপরেই জিএনএ বিরোধী পক্ষ জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) ওপর স্বশস্ত্র অভিযান চালায়। তুরস্কের এমন সিদ্ধান্তের কারণেই লিবিয়ায় পুনরায় সহিংসতা বেড়ে গেছে।

অন্যদিকে হাফতারকে ফ্রান্স সমর্থন দিচ্ছে এমন অভিযোগ রয়েছে। বলা হচ্ছে, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে লড়াই করতে হাফতারকে সহায়তা করেছিল দেশটি। যদিও ফ্রান্স এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। উপরন্তু হাফতারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় তুরস্ককেও জেরা করছে দেশটি।

ফ্রান্স প্রেসিডেন্টের ওই কর্মকর্তা বলেন, তুরস্ক জাতিসংঘের অস্ত্র নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে। লিবিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে তারা সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করছে। তাদের এরকম আচরণ ওই অঞ্চলে শান্তি স্থায়ীকরণের আমাদের যে প্রচেষ্টা চলছে তা ব্যাহত করছে। তাদের আচরণ প্রতিনিয়ত আক্রমণাত্মক হচ্ছে। ন্যাটোভুক্ত হয়ে তারা এরকম আচরণ করতে পারে না। তিনি আরো বলেন, তুরস্কের এমন ভূমিকায় আশাহত হয়েছে ফ্রান্স। এ বিষয়ে একটি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা আয়োজনের প্রস্তাব দেয়া হবে। সূত্র: রয়টার্স, মিডল ইস্ট মনিটর।



 

Show all comments
  • jack ali ২৩ জুন, ২০২০, ৪:৫৭ পিএম says : 0
    May Allah destroy muslim killer france. Ameen
    Total Reply(0) Reply
  • elu mia ২৩ জুন, ২০২০, ৮:২৭ পিএম says : 0
    Who the hell is france??why do they think they have any say in this matter?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ