নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) গাইডলাইন মানতে গিয়ে অবশেষে দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা একাডেমিগুলো নিয়ে টনক নড়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)। এসব একাডেমি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে তারা। লাল-সবুজের কিংবদন্তী ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন বাফুফের সভাপতি হিসেবে নিজের তৃতীয় মেয়াদের শেষ দিকে এসে নজর দিয়েছেন দেশের অবহেলিত ফুটবল একাডেমিগুলোর দিকে। বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা একাডেমিগুলোকে বাফুফের অধীনে আনার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। এএফসি’র গাইডলাইন অনুসারেই কাজটি শুরু করেছে বাফুফে। তারা খোঁজ নিয়ে জেনেছে যে, দেশে বর্তমানে ১২১টি একাডেমি চালু আছে। আরো একাডেমি আছে কি না, তা জেনে সেগুলোকে টেকনিক্যাল সহায়তা দেবে বাফুফে। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অধীনে চলমান একাডেমিগুলোর তালিকা তৈরীর পর তাদের তিনটি গ্রেডে (১ স্টার, ২ স্টার ও ৩ স্টার) ভাগ করে সহযোগিতা করা হবে। এই সিদ্ধান্ত হয় রোববার বাফুফের টেকনিক্যাল কমিটির সভায়। এ প্রসঙ্গে সোমবার বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন,‘এএফসি গাইডলাইন দিয়েছে বাংলাদেশের সব ফুটবল একাডেমিগুলোকে আমাদের অধীনে রাখতে। তাহলে আমরা জানতে পারব তাদের কী কী সমস্যা এবং কোন কোন বিষয়ে সার্পোট লাগবে। এএফসিও এসব একাডেমির জন্য সহায়তা করতে পারে। আগে থেকে আমাদের তালিকা করা থাকলে সুবিধা হবে। এ লক্ষ্যে এখন পর্যন্ত আমরা ১২১ একাডেমির তালিকা তৈরি করেছি।’
একাডেমি নিয়ে বাফুফের চিন্তা-ভাবনা যাই হোক না কেনো বাস্তবতা হচ্ছে দেশে এখন পর্যন্ত নিজেরা কোন একাডেমি দাঁড় করাতে পারেনি তারা। বেশ ক’বছর আগে সিলেট বিকেএসপি বরাদ্দ নিয়ে একাডেমি শুরু করেও তা চালাতে পারেনি বাফুফে। পরে গত বছর রাজধানীর বাড্ডাস্থ বেরাইদে ফর্টিস গ্রুপের মাঠে একাডেমি উদ্বোধন করা হলেও প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে সেটা বন্ধ আছে। এখন দেখা যাক এএফসির গাইডলাইন মেনে একাডেমি নিয়ে কতটা কাজ করে দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।