Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ধেয়ে আসছে ভয়ংকর আকারের ধুলো ঝড়!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০২০, ৪:২১ পিএম

আফ্রিকার উপকূল থেকে প্রতিবছরই সাহারা মরুভূমি ফেরত ধুলো বাতাসে বয়ে এসে বিপত্তি বাধায়। কিন্তু এবার ধূলোর বিশাল এক আস্তরণ উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে ধেয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। ইতোমধ্যেই প্রায় তিন হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে বিশাল ধূলিঝড়টি পৌঁছে গেছে ক্যারিবিয়ান সাগরে। দুই-একদিনের মধ্যেই এটি মার্কিন ভূ-সীমায় প্রবেশ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ৭ জুন আফ্রিকার ওপর স্যাটেলাইট ইমেজে ধরা পড়ে সাহারান এয়ার লেয়ারটির (এসএএল) উপস্থিতি। এ ধরনের ধূলিঝড় বা এসএএল সাধারণত ভূস্তরের ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার ফুট উঁচুতে থাকে।
সম্প্রতি নাসার একটি উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, দীর্ঘ দু হাজার মাইল লম্বা এক ধুলোর ঝড় উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের ওপরে আপাতত অবস্থান করছে। কিন্তু এর লেজের অংশ এখনও স্পষ্ট নয়। ফলে যদি সত্যিই এটি সাগর পেরিয়ে এসে পড়ে, তাহলে এর আকার হতে পারে প্রায় পাঁচ হাজার মাইল। একটি বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ এক অবিশ্বাস্য রকমের ধুলোর ঝড় আসছে। আবহাওয়াবিদদের বিশ্বাস, আগামী মঙ্গলবার নাগাদ ধূলিঝড়টি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, বিশাল ধূলিঝড়টি ক্যারিবিয়ান সাগর ছেয়ে রয়েছে এবং কিছু অংশ ফ্লোরিডার দিকে যাচ্ছে। এছাড়া এর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আরও কয়েকটি অংশ জর্জিয়া, সাউথ ক্যারোলিনা এবং মেক্সিকের দক্ষিণাঞ্চলের দিকেও ধাবিত হচ্ছে।
সাধারণত, মরু অঞ্চলের উষ্ণ বায়ু দ্রুত গতিতে ধুলো ও বালির কনা বহন করে নিয়ে চলে। ক্রমে সেই ধুলো ও বালির কনার পরিমাণ বাড়তে বাড়তে মারাত্মক ধুলো ঝড়ের সৃষ্টি হয়। ভারতে রাজস্থানের মরু অংশে এই ধরনের ধুলোর ঝড়কে বলা হয় আঁধি। এর ফলে আকাশ ঢেকে যায় কালো মেঘের মতো ধুলোর চাদরে। আমেরিকায় যতদিন যাচ্ছে, এই ধুলোর ঝড়ের দাপট বাড়ছে বলেই শোনা যাচ্ছে। এর ফলে মরুভূমিও একটু একটু করে নিজের এলাকা বাড়িয়ে নিচ্ছে।



 

Show all comments
  • Nature controls nature ....USA will be punished naturally for her own deeds. ২৩ জুন, ২০২০, ১:৪৬ পিএম says : 0
    USA fought nearly 200 wars in the last 70 years ..killed millions of peoples including innocents children...created havoc..feminine. destroyed others economy and many more destructive works against humanity. It seems that that country should be punished by nature and should cry as she did everything for crying of other people.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ