Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনা পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বড় বিপদে ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০২০, ৩:৪৭ পিএম

ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে চীনের জাতীয় পতাকা ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ছবি পোড়ানোর পাশাপাশি দাবি উঠেছে চীনা পণ্য বয়কটের। চীনকে প্রতিহত করার জন্য ভারত কী করবে তা যেন বুঝতে পারছে না। চীনা পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ভারত এবার বেশ বড় বিপদেই পড়েছে।
বিকল্প ব্যবস্থা না করে আবেগের বশে চীনকে বর্জনের উদ্যোগ নেয়ায় এর নেতিবাচক ফলও ভোগ করতে হচ্ছে দেশটিকে। সেখানে হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে ওষুধ তৈরির কাঁচামালের দাম। কেননা তুলনামূলক সস্তা হওয়ায় ওষুধ তৈরির কাঁচামালের ৮০ শতাংশই ভারত আমদানি করত চীন থেকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, উত্তরাখণ্ডে শতাধিক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার প্রধান কার্যালয় রয়েছে। সেখানকার এক শীর্ষ ওষুধ উৎপাদক সংস্থার কর্ণধার জানিয়েছেন, গালওয়ান উপত্যকার ঘটনায় চীন বয়কটের ডাক ওঠার জেরে ওষুধের কাঁচামাল সরবরাহকারী সংস্থাগুলো রাতারাতি ৩০ শতাংশ দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা সাম্প্রতিক পরিস্থিতির দোহাই দিলেও মূলত অনৈতিক উপায়ে লাভবান হওয়ার জন্যই এগুলো করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, ভারত ওষুধ তৈরির কাঁচামালের ৮০ শতাংশই আমদানি করে চীন থেকে। ইউরোপ-আমেরিকা থেকে তা কিনতে গেলে দ্বিগুণ দাম দিতে হয়। চীন থেকেই ভারতে তৈরি বেশিরভাগ ওষুধের উপাদান জোগাড় করা হয়। এমনকি, সাধারণ প্যারাসিটামল তৈরি করতে গেলেও চীনা কাঁচামালের ওপর নির্ভর করা ছাড়া উপায় নেই। তাই, ভারতের জন্য চীনা পণ্য পুরোপুরি বয়কট একপ্রকার অসম্ভব।
শুধু যে ওষুধ তৈরির কাঁচামা,ল, খেলনা বা মোবাইল নয়, গাড়ি থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বয়লার বা পরমাণু বিদ্যুতের রিঅ্যাক্টর- সব ক্ষেত্রেই চীনের পণ্য।
বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে বয়লার থেকে শুরু করে ওষুধ শিল্পের অধিকাংশ কাঁচা মাল, গাড়ি শিল্প, বা অন্যান্য ভারী শিল্পও চীন নির্ভর হয়ে পড়েছে ভারত। আর সেই অবস্থার পরিবর্তন করতে চাওয়া বাস্তবিক অসম্ভব। বলছিলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপিকা জয়তী ঘোষ।
তার কথায়, "চীনা পণ্য মানে কি চীনা খাবারের রেস্তোরাঁ যে বললাম আর বন্ধ হয়ে গেল? না কি শুধু খেলনা আর মোবাইল! আমাদের দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গাড়ি শিল্প, ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল, সার, কৃষিযন্ত্র - সবক্ষেত্রেই তো চীনা পণ্য ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা অনেকদিন ধরেই বলার চেষ্টা করছিলাম যে নানা ক্ষেত্রে, যেমন ওষুধ শিল্পে, একটা দেশের ওপরে বেশী নির্ভরশীল হয়ে পড়া অনুচিত।



 

Show all comments
  • Prokash Kumar sarker ২২ জুন, ২০২০, ৯:১৪ পিএম says : 0
    Boycott china product make in india again
    Total Reply(0) Reply
  • আজমিরহোসাইন ২৩ জুন, ২০২০, ১১:৪৫ এএম says : 0
    হাহা এবার লও ঠেলা এটা বাংলাদেশেরসাথে গাদ্দারি নয়, যে যা মনে চায়তাইকরলাম, বাপের ও বাপ আছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ