বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সম্প্রতি বাংলাদেশের রপ্তানী পণ্যে চীনের শুল্কমুক্ত সুবিধাকে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ‘খয়রাতি’ বলে উল্লেখ করায় ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আনন্দবাজার পত্রিকাসহ কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের নেতৃত্বাধীন দেশটির বেশকিছু বিতর্কিত গণমাধ্যমে বিষয়টিকে আরও কুৎসিত ভাবে তুলে ধরা হয়। এঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে ফেইসবুকে তোলপাড় শুরু হয়।
প্রতিবেশী দেশের প্রতি ভারতীয় মিডিয়ার এমন নিকৃষ্ট দৃষ্টিভঙ্গিতে দেশটির প্রতি চরম ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের সচেতন নাগরিকদের মাঝে। এ ধরনের অপমান সূচক শব্দ ব্যবহার করায় দেশটির সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের এডিটর সহ সংবাদকর্মীদের মান, যোগ্যতা ও শিষ্টাচার নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে।
ফেইসবুকে ওম্মে সারা খান লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের খেয়ে বাংলাদেশের পরে বাংলাদেশের আলো বাতাসে বড় হয়ে যারা ভারত পাকিস্তানের দালালী করে তারা যেন কান খুলে শুনে, বাংলাদেশ দূর্বল হতে পারে বাট বাংলাদেশের স্বাধীনতা যিনি দিয়েছেন (আল্লাহ) তিনি দূর্বল না, তিনি আমাদের স্বাধীনতা চিরকাল রক্ষা করবেন।’’
কাওছার আহমেদ চৌধুরী লিখেছেন, ‘ভারতকে পাত্তা দেয়ার কোন কারণ আছে বলে মনে করছি না । বাংলাদেশ এখন খয়রাতি নেয় না, বরং দিয়ে থাকে। ভারতের প্রায় অর্ধ লক্ষ লোক বাংলাদেশে কাজ করে খায় - এটাই তার বড় প্রমাণ!’’
মাসুদ করিম লিখেছেন, ‘‘এটা ভারত সরকারের মন্তব্য না হলেও ভারত সরকার দায় এড়াতে পারে না। আর আমাদের কর্মচারীরাও (ডেপুটি হাইকমিশন) তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। যথাযথ নিয়মনীতি মেনেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এর প্রতিবাদ আসা উচিৎ। কেননা পত্রিকার মন্তব্যটি কিন্তু বাংলাদেশের গায়ে চপেটাঘাত।’’
আব্দুল মান্নান লিখেছেন, ‘‘ইন্ডিয়া হিংসুটে জাতি।এরা সেই জাতি মদ খেয়ে সারা রাত দিন মাতাল খাকে? এদের কাছে ভালো কিছু আসায় করা যায় না?’’
মনির হাওলাদার লিখেছেন, ‘‘আমাদের দেশে ব্যাবসা করে খায় আবার আমাদের খয়রাতি বলে। ইন্ডিয়ান পন্য বর্জনের ডাক দিয়ে গেলাম। আমার ডাকে আজ না একদিন তোমাদের সারা দিতে হবে। হয়তো সে দিন অনেক দেরি হয়ে যাবে। তোর ডাক যদি কেউ না শোনে তবে একলা চল হে।’’
মো. শামিম লিখেছেন, ‘‘ভারতীয়রা কখনো বন্ধুসুলভ আচরণ করতে জানে না। তারা নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনে আর প্রতিবেশীদেরকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কথায় উস্কানিমূলক আচরণ করে।’’
আলম খান লিখেছেন, ‘‘ভারত হচ্ছে আমাদের জন্য একটা অভিশাপ। তারা আমাদের কখনো ভালো চায়না। তাদের কাজ হচ্ছে কিভাবে অন্য দেশকে ধ্বংস কর এবং চুষে খাবে। বিশ্বের এক নাম্বার হারামি তাঁরা। আমি কিছু বুঝতেছিনা, আমাদের দেশের সরকার কেনো কিছু বলে না। এতো কিছু দেওয়ার পরও তারা এইরকম অবস্থা কেনো করে।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।