নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রভাব বাড়ছে বই কমছে না। বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে কাতার বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের বাকি ম্যাচগুলো কোথায় অনুষ্ঠিত হবে? এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এএফসি কাপের মতো বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের বাকি ম্যাচগুলোও কি নিরপেক্ষ এক ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে? নাকি তা আলাদা আলাদা ভেন্যুতে মাঠে গড়াবে। এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মনে। মূলত এশিয়ার দেশগুলোয় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এমন প্রশ্ন উঠেছে। নতুন সূচী অনুযায়ী আগামী ৮ অক্টোবর শুরু হওয়ার কথা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের খেলা। বাছাই পর্বের ‘ই’ গ্রুপে যে ৫ টি দেশ যথাক্রমে কাতার, ওমান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারত খেলছে সেই দেশগুলোতে করোনাভাইরাস মাহমারি দিন দিন বেড়েই চলেছে।
পাঁচ দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন ভারতে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় ৪ লাখের মধ্যে মারা গেছেন প্রায় ১৩ হাজার মানুষ। বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। এখানে মারা গেছেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ। কাতারে মৃত্যু সংখ্যা একশ না ছাড়ালেও আক্রান্ত লাখের কাছাকাছি। ওমানে শতাধিক মানুষ করোনাভাইরাসে মারা গেছেন, আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৮ হাজার। আফগানিস্তানে আক্রান্ত প্রায় ২৯ হাজারের মধ্যে মারা গেছেন সাড়ে ৫ শ’র বেশি মানুষ। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয় অক্টোবরের আগে বাছাইয়ে খেলা এশিয়ার দেশগুলোর করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কেমন থাকবে, সেটা আন্দাজ করা কঠিন। জানা গেছে বিষয়টি নিয়ে ভাবছে এএফসি। বাছাইয়ে ‘ই’ গ্রুপের যে আট ম্যাচ বাকি আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি তিনটি হোম ম্যাচ আছে বাংলাদেশের। আফগানিস্তান, ভারত এবং ওমানের বাংলাদেশে এসে খেলার কথা। বাংলাদেশের অ্যাওয়ে ম্যাচ কেবল কাতারের বিপক্ষেই। ভারতের আছে দু’টি হোম ম্যাচ কাতার ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ৮ ম্যাচের পাঁচটিই বাংলাদেশ ও ভারতে, পাঁচ দেশের মধ্যে যে দু’টিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। এমন অবস্থায় আগামী চার মাসে পরিস্থিতি কি দাঁড়ায়, সেটা নিয়েই যত ভাবনা এএফসির। ঠিক এ কারণেই এএফসি কাপের বাকি ম্যাচগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে নিরপেক্ষ একটি ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এশিয়ান ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা। সম্ভবত মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে এএফসি কাপের বাকি ম্যাচগুলো।
বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে বলেন, ‘পরিস্থিতি পুরোপুরি উন্নতি না হলে বাকি ম্যাচগুলো দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হতে পারে। অথবা একটি নিরপেক্ষ ও নিরাপদ ভেন্যুতে ম্যাচগুলো আয়োজন করতে পারে এএফসি।’ যদি তাই হয় তাহলে সব দলকে আইসোলেশনে রেখে ম্যাচ খেলাতে পারবে এএফসি। ভ্রমণের ঝক্কি-ঝামেলাও থাকবে না দলগুলোর। তবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হোক আর নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হোক- এতে ক্ষতিটা বেশি হবে বাংলাদেশেরই। কারণ বাকি চার ম্যাচের মধ্যে আফগানিস্তান, ভারত ও ওমানের বিপক্ষে লাল-সবুজরা খেলবে ঘরের মাঠে। এই তিন ম্যাচ থেকে কিছু পয়েন্টের প্রত্যাশা বাংলাদেশ কোচের। অন্তত একটা জয় আশা করছেন তিনি। বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও চাচ্ছেন অন্তত আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ ঘরের মাঠে হোক। তবে ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হলে বাংলাদেশ হোম অ্যাডভান্টেজের সুযোগ হারাবে। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ‘ই’ গ্রুপে বাকি ম্যাচের প্রথমটি বাংলাদেশ খেলবে ম্যাচ ৮ অক্টোবর আফগানিস্কানের বিপক্ষে। ১৩ অক্টোবর কাতার, ১২ নভেম্বর ভারত ও ১৭ নভেম্বর ওমানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ জামালদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।