পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকাল দশটার দিকে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। কামাল লোহানীর মৃত্যুতে ইতোমধ্যেই শোক জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর প্রস্থানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও গভীর শোক জানিয়েছেন নেটিজেনরা।
কামাল লোহানীর ছবি শেয়ার করে সাংবাদিক সাজ্জাদ আলম খান তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রর অন্যতম সংগঠক, প্রবীণ সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সর্বজন শ্রদ্ধেয় কামাল লোহানী। গভীর শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধা।’
সৈয়দ রানা মুস্তফী লিখেন, ‘শোক-শ্রদ্ধা বরেণ্য সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজীউন। জাতীয় জীবনে অপুরণীয় ক্ষতি ও শূন্যতার সৃষ্টি হলো...’
সাংবাদিক নাসরিন গীতি লিখেন, ‘করোনায় নিভে গেলো আরেক প্রাণপ্রদীপ। বিশিষ্ট সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মহীরূহ এই আলোর বাতিঘরের প্রস্থানে আমরা শোকাহত। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন, আমিন।’
শ্রদ্ধা জানিয়ে লাকী আক্তার লিখেন, ‘চলে গেলেন আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় কামাল লোহানী। গভীর শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।’
আমিন আল রাশেদ লিখেন, ‘পরপর কয়েকদিন ঘুম থেকে উঠেই মৃত্যু সংবাদ। আজকের সংবাদটি অধিকতর বেদনার। কামাল লোহানী নেই। একটি ইতিহাসের সমাপ্তি।’
স্মৃতিচারণ করে নুরুন্নবী সিদ্দিকী সুইন লিখেন, নাসিম সাহেবের পর আমরা আমাদের সিরাজগঞ্জ তথা বাংলাদেশের আরেক গর্ব কামাল লোহানী সাহেবকে আজকে হারালাম। ইন্নালিল্লাহে.... রাজেউন। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন। শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। সর্বশেষ জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকাস্থ সিরাজগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির একটি প্রোগ্রামে তার কথাগুলো কানে বাজছে। এমন গুণী মানুষের এ শুন্যতা কীভাবে পূরণ হবে?’
উল্লেখ্য, কামাল লোহানীর সাংবাদিকতার ক্যারিয়ার শুরু হয় দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় সংবাদ, আজাদ, পূর্বদেশ, দৈনিক বার্তায় গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে তিনি ২বার দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি, ছায়ানটের সম্পাদকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এই গুণী ব্যক্তিত্ব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।