বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আউশ এখন চাঞ্চ কিংবা হেলাফেলা আবাদ নয়। অত্যন্ত লাভজনক। ইতোমধ্যে একথাটি মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন। তাছাড়া ধান ও চালের মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় চলতি মৌসুমে বৃষ্টিনির্ভর আউশ আবাদে রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে। এবার বৃষ্টিও ভালো হয়েছে। সরকার আউশে দিয়েছে বিশেষ প্রণোদনা। সেজন্য অতীতের রেকর্ড ভঙ্গ করে আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সারাদেশে ১৩লাখ ২৯হাজার ৬শ’ হেক্টর জমি। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৬ লাখ ৮০হাজার মেট্রিক টন চাল। আউশ আবাদ প্রায় শেষের দিকে। সরকারী লক্ষ্যমাত্রারও বেশি আবাদ হওয়ার সম্ভাবনা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (ফিল্ড সার্ভিস উইং) ড. আলহাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, অতীতে কৃষকরা হেলাফেলা করে আউশ আবাদ করতেন। এখন তার থেকে বের হয়ে এসেছেন। বপন নয়, রোপন আউশ আবাদ হচ্ছে সারাদেশেই খুব জোরেশোরে।
মঠপর্যায়ের কর্মকর্তা ড. আখতারুজ্জামান জানান, আউশে স্থানীয় জাতের আবাদ এখন হয় না বললেই চলে। উচ্চ ফলনশীল জাতের আউশ আবাদ হয় সিংহভাগ। ব্রি ধান৪৮ ও বিনা ধান১৯জাতের আউশ আবাদ হচ্ছে বেশি। এর ফলনও ভালো। হেক্টরে ৬/৭ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অতীতে আউশ আবাদ খুবই কম হতো। গত কয়েকবছরের পরিসংখ্যান বড়জোর ১০লাখ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ হয়েছে। এবার বেড়ে গেছে অনেক। করোনাকালে আউশ ধানে খাদ্য নিরাপত্তায় বিরাট সহায়ক হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, আউশ আবাদে সরকার প্রণোদনা দেওয়া ছাড়াও সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও কৃষি উপকরণ সহায়তা দিয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করেছে।
প্রযুক্তিও মাঠে পৌছানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর ফলে সারাদেশেই আউশ ধান আবাদে ঝুঁকেছেন কৃষকরা। উঁচু ও মাঝারী উঁচু জমিতে বৃষ্টির পানিতে রোপন ও নীচু ও বিল এলাকার জমিতে আউশ বপন করা হচ্ছে। বোরো ও রোপা আমন আবাদে যেভাবে সেচও সারের খরচ যোগাতে হয়, আউশে তা লাগে না। সময়ও কম লাগে। মাত্র ৯০ দিনে কৃষকরা ঘরে ধান তুলতে পারে। আর বোরোতে ১৪৫দিন ও রোপা আমনে সময় লাগে ১৩০দিন। অল্পদিনে কম খরচে বেশী লাভের ফসল হিসেবে আউশ নতুন পরিচিতি পাচ্ছে।
কৃষকদের কথা, আউশ আবাদ বরাবরই হতো, তবে পরিকল্পিতভাবে নয়, একেবারে হেলাফেলা করে। কৃষকদের কেউ জমি ফেলে রাখতেন, কেউবা বোরোর পর রবি ফসলের আগে কোনরকমে অফ চাঞ্চে আউশ আবাদ করতেন। এখন ব্যতিক্রম ঘটেছে।
কৃষকরা আরো জানান, এবার ধানের দাম ভালো পাওয়া গেছে। তাই ধান আবাদে প্রচন্ড আগ্রহ বেড়েছে। বললেন, সাধারণত বোরোতে পানির অভাব হয়, রোপা আমন আবাদে প্রথমদিকে বন্যার আশংকা ও শেষদিকে হয় খরা। যার কারনে আবাদ অনেকটাই হয় ঝুঁকিপুর্ণ। আর প্রকৃতিনির্ভর আউশ আবাদে কোন ঝুঁকি নেই। আষাঢ়ে আবাদ মৌসুম হওয়ায় বৃষ্টির পানিতেই বীজতলা তৈরী ও রোপন করা সম্ভব হয়। এসব কারনে আউশ ধান আবাদ ও উৎপাদনের দিকে ঝুঁকেছেন কৃষকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।