আমেরিকার সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন হোয়াইট হাউসে দায়িত্বে থাকার সময়েই ‘দ্য রুম হয়্যার ইট হ্যাপেনড’ শিরোনামে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে একটি বই লিখেছেন। এতে ট্রাম্প প্রশাসনের যেন ঘাম ছুটে যাচ্ছে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে যাকে বহিষ্কার করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কয়েক মাস আগে বোল্টনের বইয়ের পাণ্ডুলিপি ফাঁস হওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন বিচারেও আলোচনা হয়েছিল। এমনকি জন বোল্টনের ওই বই প্রকাশ আটকে দিতে আদালতে মামলা পর্যন্ত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
তবে এখন প্রশ্ন উঠেছে, কী আছে এ বইতে যার জন্য স্বয়ং ট্রাম্প ও তার দল রিপাবলিকান রীতিমতো যুদ্ধে নেমেছেন। যেমন ১. ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি ২. ২০২০ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া নিশ্চিত করা ৩. চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাহায্য চাওয়া ৪. মার্কিন আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি
এর বাইরেও ট্রাম্প ও তার দলের বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে এ বইতে। সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, আসছে ২৩ জুন বইটি প্রকাশ হওয়ার কথা। আর বইয়ের এ প্রকাশনা আটকে দিতেই ট্রাম্পের এই প্রচেষ্টা।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) প্রকাশিত হবার জন্য ‘দ্য রুম হয়্যার ইট হ্যাপেনড’ বইটির কয়েক হাজার অনুলিপি ইতোমধ্যে বই বিক্রয়কারীদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। বিচারক বিভাগের আইনজীবীরা ওয়াশিংটন জেলা আদালতে একটি উত্থাপিত লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে পারেন। এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে এটিকে ‘মিথ্যা ও রচিত গল্পের সংকলন’ বলে নিন্দা করেছেন। বোল্টনকে ‘পাগল’ সম্বোধন করে উড়িয়ে দিয়েছেন।
বইটির প্রকাশ বন্ধ করতে মামলায় বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউস ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য দিয়ে বইটি লিখেছেন বোল্টন। বইটির প্রকাশ হলে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হবে। এর আগে গত ১৫ জুন ট্রাম্প রীতিমতো হুমকিও দেন বোল্টনকে। তাকে অপরাধমূলক ‘ক্রিমিনাল প্রবলেমস’ এ পড়তে হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য দিয়ে বই প্রকাশ করলে সেটি আইন ভঙ্গ করা হবে বলেও সাফ জানিয়ে দেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন জানায়, বোল্টনের বইয়ের প্রকাশ বন্ধ করতে পারবেন না ট্রাম্প। তার দলের সমস্ত প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হবে।