Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

গঙ্গামতি সৈকত এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০২০, ১২:০২ এএম

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পর্যটন স্পর্ট গঙ্গামতি সৈকত এখন কেবলই গাছের ধ্বংস স্তূপ। সুপার সাইক্লোন আম্পানের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছ। ঢেউয়ের তান্ডবে উপড়ে গেছে অশংখ্য ঝাউ গাছ। সৈকতের বনাঞ্চলে অনেক গাছ এখন মরতে শুরু করেছে। গাছের মুলে বালু জমে ও লবন পানিতে বিবর্ণ হয়ে গেছে গাছের কান্ড ও পাতা। আম্পানে দীর্ঘ সময় চলা ঝড়ো বাতাসে গাছগুলোর এমন দশা হয়েছে। এ কারণে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে এ বনাঞ্চল সংলগ্ন পরিবারগুলো। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার জিরোপয়েন্ট থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পূর্বদিকে গঙ্গামতির সৈকতের অবস্থান। সবুজ প্রকৃতিতে ঘেরা ঠিক যেন ছবির মতো সাজানো গোছানো ছিল। যেন প্রকৃতির সবুজ দেয়াল। আম্পানের ঝড়ের তান্ডবে সেই প্রকৃতির সবুজ দেয়াল এখন বিলীন হয়ে গেছে। যে কয়টি গাছ দাঁড়িয়ে আছে তাও মরতে শুরু করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আম্পান দীর্ঘ সময় ধরে চলা ঝড়ো বাতাস ও সামুদ্রিক লবন পানির স্থায়ী পানিবদ্ধতার কারণে গাছের শ্বাসমূল শোষণ করায় গাছগুলো মরে যাচ্ছে।
জানা যায়, প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড় ও সমুদ্রের প্রচন্ড ঢেউয়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বনাঞ্চল। বিশেষ করে ২০০৭ সালের ‘সিডর’ ও ২০০৯ সালের ‘আইলা’র তান্ডব থেকে এ বন উপক‚লকে রক্ষা করেছে। সেই দুর্যোগে বড় ধরণের ক্ষতির শিকার হয়েছিল বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল। বনের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি বন্যপ্রাণীর ক্ষতি হয়েছে অনেক।
গঙ্গামতির বনাঞ্চল সংলগ্ন বাসিন্দা সেলিম মিয়া বলেন, এলাকা রক্ষায় দেয়াল হিসেবে কাজ করেছে সৈকত লাগোয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চল, ম্যানগ্রোভ বন ও সবুজ বেষ্টনী। এখন সেই বন নেই।
জেলে হানিফ ফরাজি বলেন, গত ৫/৬ বছর ধরে এ বন বিলীন হতে চলেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়ে আম্পানের ঝড়ো হাওয়ায়। সৈকত সংলগ্ন বাগানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ উপড়ে গেছে।
পরিবেশবিদরা বলেছেন, বন ও বনের গাছ পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখছে। প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ের কবলে যেভাবে বন ও সবুজ বেষ্টনী ধ্বংস হচ্ছে এর ফলে পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। আর এর প্রভাব পড়ছে মানুষের উপর।
মহিপুর বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার আবুল কালম আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে বনের ক্ষতির পরিমান নিরুপন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গঙ্গামতি-সৈকত
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ