বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সামনের দিনগুলোতে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় দেশের পতিত জমিতে চাষাবাদ নিশ্চিতের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশের পর ভূমি ও কৃষি মন্ত্রণালয় পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস বাংলাদেশেও নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। দেশে করোনায় আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার সাড়ে তিন মাস পেরিয়ে গেলেও পরিস্থিতির উন্নতি নেই। প্রতিদিনই অবস্থার অবনতি হচ্ছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি), ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ইফ্রি), জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলেছে, করোনার প্রভাবে অনেক দেশেরই অর্থনীতিতে একটা সংকট আসতে পারে। এর প্রভাব খাদ্য উৎপাদনের উপর পড়বে। খাদ্য সংকট হবে, এমনকি দুর্ভিক্ষও হতে পারে।
খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অবস্থান ভালো। এটা ধরে রাখতে যথাযথ পরিকল্পনা নিয়ে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে পতিত জমিতে চাষাবাদ নিশ্চিত করা হলে তা উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক হবে বলেও মনে করেন তারা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গত বছর প্রকাশিত ‘রিপোর্ট অন অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল স্ট্যাটিসটিকস ২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ব্যবহৃত জমির পরিমাণ ২২৬ কোটি ৫১ লাখ ৭৪ হাজার শতক। এসব জমির মধ্যে বসতবাড়ি, পুকুর, স্থায়ী ফসলি জমি, অস্থায়ী ফসলি জমির পাশাপাশি পতিত জমিও রয়েছে। পতিত (স্থায়ী ও অস্থায়ী পতিত) জমি রয়েছে প্রায় ১০ কোটি ৮৫ লাখ ১৫ হাজার শতক। যা দেশের মোট জমির প্রায় ৫ শতাংশ।
কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, আমরা আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বলেছি, তারা যেন কোনো পতিত জমি না রাখেন, সেখানে যেন চাষাবাদের ব্যবস্থা করেন। জমির প্রকৃতি অনুযায়ী, কোথাও ধান আবাদ, কোথাও বাগান করা হবে, কোথাও ফলের গাছ লাগানো হবে।
প্রধানমন্ত্রী এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছেন তা বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিকভাবে জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় কমিশনারদের মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সমন্বিতভাবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বসে তারা জমির ধরন নির্ধারণ করে চাষের আওতায় নিয়ে আসবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।