মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে লকডাউন থাকায় গত এপ্রিলে তেলের চাহিদা কমে গিয়েছিল ইতিহাসে যেকোনও সময়ের তুলনায় সবচেয়ে দ্রæত। ফলে তেল ব্যবসায়ীদের সামনে খোলা ছিল আর একটাই পথ- উৎপাদন কমিয়ে দেয়া। মার্চ থেকে মে মাসে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই তেলের উৎপাদন কমানো হয় দিনে দুই মিলিয়ন ব্যারেল। মে-জুনে প্রতিদিন রেকর্ড ৯ দশমিক ৭ মিলিয়ন ব্যারেল উৎপাদন কমাতে সম্মত হয় তেল রপ্তানিকারকদের সংগঠন ওপেক ও এর মিত্র দেশগুলো। উৎপাদন কমানোর ফলে তেলের অব্যাহত দরপতন অবশেষে ঠেকানো সম্ভব হয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি যেখানে অপরিশোধিত তেলের দাম নেমে এসেছিল ১৭ ডলারের নিচে, সেখানে জুনে এর দাম দাঁড়ায় ৪২ ডলার পর্যন্ত। দাম বাড়লেও তেলের বাজার এখনও মন্দা। তেল উৎপাদন কমানোর সময়সীমা আরও একমাস বাড়িয়েছে ওপেক ও মিত্ররা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তেল সরবরাহ আগের মতো স্বাভাবিক হবে কবে? ভবিষ্যতে তেল সরবরাহের বিনিয়োগে ধস নেমেছে। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) জানিয়েছে, ২০০৫ সালের পর এ বছর তেল ব্যবসায় বিনিয়োগ সর্বনিম্ন হতে পারে। গোল্ডম্যান স্যাশ ব্যাংকের বিশ্বাস, ২০২০ সালে ওপেকের বাইরে তেলের উৎপাদন কমবে। তবে সেটি চাহিদা কমে যাওয়া বা ভৌগলিক কারণে নয়, বরং বিনিয়োগের অভাবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান বার্নস্টেইনের মতে, নন-ওপেক দেশগুলো, যারা সারাবিশ্বে তেল চাহিদার ৬০ শতাংশ মেটাচ্ছে, তাদের উৎপাদন গত বছরের সমান হতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। তেল বাণিজ্যে এই বিনিয়োগ সংকটের শুরু অবশ্য করোনা মহমারির অনেক আগেই হয়েছিল। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ব্যাপক দরপতনের কারণে ঝুঁকিপ‚র্ণ প্রকল্পে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ অনেকটাই কমে গিয়েছিল। ২০১৭ সালে দাম কিছুটা বাড়লেও এ ব্যবসায় আগের মতো বিনিয়োগ আর পাওয়া যায়নি। বর্তমানে তেল উৎপাদকরা লাভের মুখ দেখলেও বিনিয়োগ হ্রাসের ধারা থামেনি। আইইএ’র হিসাবে, গত বছর তেল-গ্যাসের ব্যয় ২০১৪ সালের তুলনায় ৪৩ শতাংশ কম ছিল। দ্য ইকোনমিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।