পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এবারের বাজেটকে ‘মানবিক বাজেট’ আখ্যায়িত করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, এবারের বাজেটে মানুষকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। মানুষ না থাকলে বাজেট কার জন্য? বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে দেশের মানুষকে আমাদের বাঁচাতে হবে। অর্থমন্ত্রী করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাজেট বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এবারের (আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছর) বাজেটে সব ক্ষেত্রে প্রাধিকার পাচ্ছে দেশের মানুষ। সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে হবে। এই করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে আমাদের চেষ্টা থাকবে মানুষকে যতটা সম্ভব রক্ষা করা। আল্লাহর অশেষ রহমত থেকে আমরা সেই কাজটি করবো।
গতকাল জাতীয় সংসদে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তব্যে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী ছাড়াও সম্পূরক বাজেট নিয়ে পাঁচ জন সদস্য আলোচনায় অংশ দিয়ে বক্তব্য রাখেন। তারা হলেন, উপনেতা ও জাতীয় পার্টিও চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী, তাহজীব আলম সিদ্দিকী ও ওয়াসিকা আয়েশা খান এবং বিএনপির হারুন-অর-রশিদ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বছর বাজেটের সংযোজন-বিয়োজন বা সমন্বয়েরকারণটি সবার জানা। বৈশ্বিক মহামারী করোনা কোভিড ১৯ এর বিবেচনায় সম্পূরক বাজেটে রাজস্ব আয় ও ব্যয় কিছু সমন্বয় করার চিন্তা করেছি। জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও ৮ দশমিক ২ শতাংশ কমিয়ে ৫ শতাংশ ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছি। যদি এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারি তা হবে দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ।
মন্ত্রী বলেন, সম্পূরক বাজেট করোনা দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য স্বাস্থ্যসেবা খাত, স্বাস্থ্য চিকিৎসা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে অতিরিক্ত তিন হাজার ৬০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাজেট না দেয়া হলে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ তোলার কোনও ব্যবস্থা নেই।
তিনি বলেন, সব সময় বাজেটে অর্থনৈতিক উন্নয়নগুলোর কম্পোনেন্ট প্রাধিকার পায়। কিন্তু এবার তা করিনি। এবার মানুষকে প্রাধিকার দিয়েছি। এটা কেবল অর্থনৈতিক বাজেট নয়। এটা একদিকে অর্থনৈতিক বাজেট পাশাপাশি মানবিক বাজেট।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী গ্রামের অর্থনীতিকে গুরুত্ব দিতে বলেছেন। গ্রামের মানুষকে রক্ষা করতে হবে। তাদের দায়িত্ব নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করেছি।
অর্থমন্ত্রী জানান, ‘অন্যবার রেভিনিউ অর্জন করি এবং রেভিনিউ খরচ করি। এবার রেভিনিউ আগে খরচ করবো। তারপরে রেভিনিউ অর্জন করবো। এখন খরচ না করলে মানুষ বাঁচবে কী করে? আর মানুষ বাঁচাতে না পারলে দেশ কার জন্য? দেশের বাজেট কার জন্য? কাজেই এই বিবেচনাতেই মাথায় রেখে সবাইকে অনুরোধ করবো। আসুন সবাই ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই বাজেট যেন পরিচালনা করি। এই বছরটি একটি ভিন্ন বছর। করোনাভাইরাসের দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হলে সবাইকে নিয়ে কাজটি করতে হবে। সম্পূরক বাজেট নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনার জন্য অর্থমন্ত্রী সব সংসদ সদস্যকে ধন্যবাদ জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।