আজ সোমবার থেকে আকাশ, সমুদ্র ও সড়কপথে প্রায় ৩০টি দেশের পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে গ্রিসের সীমান্ত। এক্ষেত্রে ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য সঠিকভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কাইরিয়াকস মিৎসতাকিস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব থাকবে। আমরা চাই তারা এখানে এসে সম্পূর্ণ নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত অনুভব করুক। গ্রিসকে ইউরোপের মধ্যে শীর্ষ পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করা আমার উদ্দেশ্য নয়; বরং আমার উদ্দেশ্য গ্রিসকে এ অঞ্চলের সবচেয়ে নিরাপদ গন্তব্যে পরিণত করা।
এদিকে গ্রিসের পক্ষে অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন খাতকে সীমাবদ্ধ করে রাখা সম্ভব নয়। কারণ দেশটির জিডিপিতে এ খাতের অবদান প্রায় ২৫ শতাংশ। মিৎসতাকিস স্বীকার করেছেন, পর্যটন খাতকে কোনো কারণে সীমাবদ্ধ করা হলে দেশের অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব পড়বে। গত বছর গ্রিসে ৩ কোটি ৩০ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেছিল। কিন্তু এবার গ্রীষ্মে এর খুবই ছোট একটি অংশ ভ্রমণে আসতে পারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মিৎসতাকিস।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সত্যি বলতে পর্যটক সংখ্যা কমে গেলে জিডিপির ওপর প্রকৃত প্রভাব কেমন হবে তা আমার জানা নেই। তবে অতি গুরুত্বপূর্ণ এ খাতকে টিকিয়ে রাখতে সম্ভাব্য সবকিছু করা হবে। আশা করছি, এবারের গ্রীষ্মের এই সংকটকাল আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারব।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ থেকে ৩০ দেশের পর্যটক গ্রিসে প্রবেশ করতে পারলেও তাদের জন্য শুধু এথেন্স ও থেসালোনিকির বিমানবন্দর খোলা থাকবে। অন্যদিকে সানতোরিনিসহ আঞ্চলিক বিমানবন্দরগুলো পুনরায় খুলবে ১ জুলাই থেকে। এর আগে যেকোনো যাত্রী কভিড-১৯ টেস্টে পজিটিভ হলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের আইসোলেশনে যেতে হবে। তবে সরকার আশা করছে, সংক্রমণ প্রতিরোধে জারীকৃত সব ধরনের বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়া সম্ভব হবে। একই সঙ্গে পর্যটন মৌসুমের মেয়াদও বৃদ্ধি করার কথা ভাবা হচ্ছে।