মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একটি আন্তর্জাতিক দলের গবেষণায় বলা হয়েছে, মহামারী করোনায় বিশ্বের অর্ধেক জনগোষ্ঠী দারিদ্রের মুখোমুখি হবে। নতুন করে যে গরিব জনগোষ্ঠী তৈরি হবে তার ৪০ শতাংশই হবে পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বাসিন্দা। ৩৩ শতাংশের দক্ষিণ এশিয়া ও সাব সাহারা আফ্রিকার অধিবাসী।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দুই গবেষণায় এই উদ্বেগজনক খবর উঠে এসেছে। গত শুক্রবার জাতিসংঘের অধীন ‘ইউএনইউ-ওয়াইডার’ গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। গবেষকদলে ছিলেন লন্ডনের কিংস কলেজ ও অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদরা।
তাদের গবেষণাপ্রত্র বলছে, স্বাস্থ্য সঙ্কটের চেয়েও ভয়াবহ হবে অর্থনেতিক সঙ্কট। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে গরিবি নির্মূলকরণের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তা বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে চলেছে।
গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য, আগামী দিনে বিশ্বে দারিদ্র্যের চরম সীমায় পৌঁছে যাবে বিশ্বের অন্তত ১১২ কোটি মানুষ। আর বেশি দরিদ্রের মাত্রায় গরিব হয়ে পড়বে অন্তত ৩৭০ কোটি মানুষ, যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি।
গবেষকরা বলছেন, বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতির যা অবস্থা, তাতে এটাই হতে চলেছে আগামী দিনে বিশ্বের দারিদ্র্যের চিত্র।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক বলেছিল, করোনার জেরে বিশ্বে চরমতম দারিদ্র্যের শিকার হবে ৭ থেকে ১০ কোটি মানুষ।
চরমতম থেকে খুব দরিদ্র, বিভিন্ন ধরনের দারিদ্র্যসীমা নির্ধারণের জন্য মানুষের গড় দৈনিক আয়ের যেসব মাত্রা বিশ্বব্যাংক নির্ধারণ করেছে, সেগুলোর ভিত্তিতেই এই গবেষণা চালানো হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই চরমতম দারিদ্রেও ‘বৈষম্য’ থাকবে এলাকাভেদে। কোথাও সেটা সংখ্যায় কম হবে। কোথাও বেশি। সবচেয়ে করুণ অবস্থা হবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর। তার মধ্যে প্রথম দিকেই রয়েছে জনবহুল দেশ ভারতের নাম। তার পরেই রয়েছে সাহারা মরুভূমি সংলগ্ন আফ্রিকার দেশগুলি। গোটা বিশ্বে যে ১১২ কোটি মানুষ চরমতম দারিদ্র্যেরর শিকার হবে, তাদের এক-তৃতীয়াংশই আফ্রিকার ওই দেশগুলোর নাগরিক।
গবেষকদলের অন্যতম সদস্য অ্যান্ডি সামনার বলেন, ‘লকডাউনের ফলে প্রতিদিন গরিবদের আয় যেভাবে মার খাচ্ছে, তা পূরণ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের সরকার যদি জরুরি ভিত্তিতে কোনো কল্যাণমূলক ব্যবস্থা নিতে না পারে, তা হলে গোটা বিশ্বেই গরিবদের ভবিষ্যত বলে কিছু থাকবে না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।