Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কমিটি সক্রিয় করার আহবান স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর

জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়ন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

কারোনা মোকাবেলায় জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ে গঠিত কমিটিগুলোকে সক্রিয় করার আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসা থেকে করোনা মহামারীর সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এলাকাভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়েনের অগ্রগতি পর্যালোচনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে এই আহবান জানান।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য জোনভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করা হলে তা বাস্তবায়নে রাজধানীসহ সারাদেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের নিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি এবং উপ-কমিটিকে সক্রিয় করতে হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে কনফারেন্সে আরো অংশ নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউসসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ত্রাণবিতরণসহ বিভিন্ন সময়ে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই কমিটিগুলোকে সক্রিয় করে লকডাউনের বিধি-বিধান বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিলে তা অধিক কার্যকরী হবে। তিনি বলেন, জোনভিত্তিক এলাকাগুলোতে অন্যান্য জরুরি সেবা প্রদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুবিধার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। যেসব এলাকায় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেল করে তাৎক্ষণিক সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে যখন এলাকাভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করা হবে তখন সব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ন্যস্ত করা কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ করোনা ছাড়াও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাজনিত বিষয় সামলাতে গিয়ে শুধু করোনা প্রতিরোধে এত সংখ্যক জনবল পদায়ন করা কঠিন হবে। সে জন্য জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ এটা কার্যকরী করতে সহজ হবে। এসময় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য কিছু সংখ্যক হাসপাতাল রাখা যেতে পারে।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৩ জুন, ২০২০, ৮:৪৫ এএম says : 0
    স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য জোনভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করা হলে তা বাস্তবায়নে রাজধানীসহ সারাদেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের নিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি এবং উপ-কমিটিকে সক্রিয় করতে হবে। ওনার কথাটা বস্তব ধর্মী কথা, এলাকাভিত্তিক কমিটিগুলোকে ক্ষমতা প্রদান করে দায়িত্ব দিলে আমরাও মনেকরি ভাল ফল পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে একটা বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে সেটা হচ্ছে এলাকার ‘বড় ভাই’। এসব বড়ভাইদের মোবাইল কড়ানজরে রাখতে পারলে তারা এলাকার ‘ছোট ভাইদের’ (স্বেচ্ছাসেবক) কোন অবান্ত নির্দেশ দিতে পারবেনা। ফলে কোন অনিয়ম হবে না এবং সরকারের উদ্দেশ্য সফল হবে। আল্লাহ্‌ এই করোনাভাইরাসের মহামারীর হাত থেকে সবাইকে বাঁচিয়ে রাখুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লকডাউন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ