নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের আতঙ্কে সারা বিশ্বের মানুষ যখন আতঙ্কিত, তখন একের পর এক মহৎ কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। করোনাকালে অসহায় মানুষদের পেটের আহার যোগানো থেকে শুরু করে ক্ষতিগ্রস্থদের অর্থ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিতই। এবার তামিম পাশে এসে দাঁড়ালেন সতীর্থ জাতীয় দলের তারকা লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের। চরম বিপদের মুহূর্তে বিপ্লবকে সহযোগিতা করলেন তামিম।
বিপ্লবের বাবা আবদুল কুদ্দুস বেশ কয়েকদিন ধরেই শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। চারদিকে করোনা আতঙ্ক। দ্রুতই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার চেষ্টা চলছিল। অসুস্থ বাবাকে নিয়ে রাজধানীর অন্তত পাঁচটি হাসপাতালে ঘুরেছেন বিপ্লব, কিন্তু কোথাও জায়গায় হয়নি আবদুল কুদ্দুসের। করোনাভাইরাসের কঠিন সময়ে শ্বাসকষ্টের কারণে কোনো হাসপাতালই ভর্তি নেয়নি তাকে। অবশেষে তামিম ইকবালের সহযোগিতায় বুধবার সন্ধ্যায় মিরপুরস্থ হার্ট ফাউন্ডেশনে বাবাকে ভর্তি করিয়েছেন বিপ্লব।
জানা যায়, খিলগাঁওয়ের বাসায় শ্বাসকষ্টে কাতরাতে থাকা ৬০ বছর বয়সি বাবা যখন হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারছিলেন না বিপ্লব, ঠিক তখনি তিনি তামিমকে ফোন করে বিষয়টি জানান। সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক বিপ্লবের ডাকে সাড়া দিয়ে আবদুল কুদ্দুসকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করে দেন।
এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বিপ্লব বলেন,‘ বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারছিলাম না। খুব চিন্তায় ছিলাম। দু’দিন ধরে ঘুরছিলাম। বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাই, কিন্তু করোনা আতঙ্কে কেউ ভর্তি নিচ্ছিল না। টেস্ট করায়, রিপোর্টও দেখে, কিন্তু বলে ভর্তি নেবে না।’ তিনি যোগ করেন,‘শেষে শ্যামলীতে সেন্ট্রাল ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই। মনে করেছিলাম ওরা নেবে। কিন্তু ওখানে টেস্ট করানোর পর ওরাও রিফিউজ করে। পরে রিপোর্ট দেখে ডাক্তাররা বলেন যে, শ্বাসকষ্ট হলেও এটা হার্টের সমস্যা থেকে হচ্ছে। তারা হার্ট ফাউন্ডেশনে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। হার্ট ফাউন্ডেশনও কনফিউজ হয়ে পড়েছিল, ভর্তি নেবে কী নেবে না। কোনো অপশন ছিল না। তারপর তামিম ভাইকে ফোন দেই। তিনি খুব তাড়াতাড়ি এখানকার ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর হার্ট ফাউন্ডেশন ভর্তি নেয়।’
জাতীয় দলে এই লেগ স্পিনার জানান, হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে তার বাবাকে। বৃহস্পতিবার সকালে আবদুল কুদ্দুসের করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে ডাক্তাররা ধারণা করছেন, হার্টের সমস্যা থেকে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে কেউ যোগাযোগ করেছেন কিনা? এই প্রশ্নের উত্তরে বিপ্লব বলেন, ‘বিসিবি’র চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী ফোনে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।