ঢাকা মহানগরীর পূর্ব-পশ্চিমে সংযোগ বাড়াতে আরও একটি মেট্রোরেল রুট নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। সাভারের হেমায়েতপুর থেকে গাবতলী-মিরপুর-১০-কচুক্ষেত-বনানী-গুলশান-২ হয়ে ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ রুটের বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন ও নির্মাণকাজ তদারকির জন্য পরামর্শক নিয়োগের চুক্তি করা হয়েছে। ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রুটে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পাতাল এবং সাড়ে ছয় কিলোমিটার হবে উড়াল।
গতকাল বুধবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতাও নাওকি একইভাবে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। দেশে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়ালি এমন চুক্তি সম্পাদন করা হয়।

এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে উড়াল ও পাতালসহ ছয়টি মেট্রোরেল রুট নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত রুট-৫-এর নর্দার্ন অংশের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। তিনি জানান, এ রুটটি নির্মাণে প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। এরমধ্যে জাপান সরকারের অর্থায়ন প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা। ওবায়দুল কাদের বলেন, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত নির্মাণাধীন মেট্রো রুট-৬-এর চলমান কাজের শতকরা ৪৫ ভাগ শেষ হয়। স¤প্রতি কাজের গতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে এ রুটে ১০ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট এবং এক কিলোমিটার রেল লাইন স্থাপন করা হয়েছে।

প্রায় ১ হাজার ছয়শত কোটি টাকার চুক্তিপত্রে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানসমূহের পক্ষে জাপানের নিপ্পন কোয়ে কোম্পানি লিমিটেড-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কেন নিশিনো ও ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্টস গেøাবাল কোম্পানি লিমিটিড-এর সভাপতি ইজি ইওনেযাওয়া স্বাক্ষর করেন।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশে জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউহো হায়াকাওয়াসহ মেট্রোরেলের বিভিন্ন রুটের প্রকল্প পরিচালক, প্রকৌশলী, কর্মকর্তা এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানে এসময় যুক্ত ছিলেন।