Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আসামে গ্যাসকূপে ভয়াবহ আগুন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০২০, ৪:৫০ পিএম

ভারতের আসাম প্রদেশের বাঘজানে অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের (ওআইএল) প্রাকৃতিক গ্যাসকূপে ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আগুন নেভাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন দুই দমকল কর্মী। গতকাল মঙ্গলবার (৯ জুন) আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন তারা। বুধবার সকালে এ দুই কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছেন জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) সদস্যরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দুই সপ্তাহ ধরেই গ্যাস বের হচ্ছিল কূপটি থেকে। মঙ্গলবার সেখানে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকল বাহিনী। তাদের মধ্য থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হন দুই কর্মী। বুধবার সকালে একটি জলাশয়ের পাশ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
অয়েল ইন্ডিয়ার মুখপাত্র সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, দুই দমকল কর্মীর দেহদুটি ঘটনাস্থলের কাছে থাকা একটি জলাভূমির থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যা বোঝা যাচ্ছে তাতে আগুনে পুড়ে নয়, পানিতে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে তাদের। কেননা ওই কর্মীদের দেহে আগুনে পুড়ে যাওয়ার কোনও চিহ্ন নেই। তবে কী কারণে তারা মারা গেলেন তা জানার জন্য তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলের আশেপাশে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আগুনের প্রভাব পড়েছে, পাশাপাশি তেলের কূপটি থেকে ক্রমাগত দাহ্য গ্যাস বের হওয়ায় এখনও সেই আগুন জ্বলছে, নেভানো সম্ভব হয়নি।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, দুই সপ্তাহ ধরেই গ্যাস বের হচ্ছিল কূপটি থেকে। মঙ্গলবার সেখানে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। দমকলকর্মীদের পাশাপাশি ভারতীয় বিমানবাহিনীর কর্মীরাও আগুন নেভানোর কাজ করছেন। এছাড়াও আগুন নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী এবং এনডিআরএফের কর্মীরাও কাজ করছে। এলাকার মানুষদের উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে সহায়তা করছেন তারা। আর আধাসামরিক বাহিনী গোটা অঞ্চলটিকে ঘিরে রেখেছে। গ্যাসকূপের আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তার জন্য সিঙ্গাপুর থেকে তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল ভারতে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে।
দমকলকর্মীদের পাশাপাশি ভারতীয় বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আগুন নেভানোর কাজ করছেন। আসাম সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও এনডিআরএফ। আধা-সামরিক বাহিনী দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে গোটা এলাকা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আগুনের লেলিহান শিখা ৩০ কিলোমিটার দূর থেকেও দেখা যাচ্ছিল। এ কারণে আশপাশের এলাকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আগুনে পুড়ে গেছে কূপের আশপাশের অসংখ্য গাছপালা, বাড়িঘর, জমির ফসল।
যে গ্যাসকূপে আগুন লেগেছে, তা ডিব্রু সাইখোয়া জাতীয় উদ্যান ও মাগুরি মোট্টাপাং জলাভূমির কাছে অবস্থিত হওয়ায় পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ৩০ হাজার রুপি করে আর্থিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে অয়েল ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ।
এদিকে সিঙ্গাপুর থেকে আসা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওই তেলের কুয়োর গ্যাস লিক করা বন্ধ হতে অন্তত ৪ সপ্তাহ সময় লাগবে। ফলে এই আগুন আরও ভয়াবহ আকার নেবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আগুনের লেলিহান শিখা ৩০ কিলোমিটার দূর থেকেও দেখা যাচ্ছিল। এ কারণে আশপাশের এলাকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আগুনে পুড়ে গেছে কূপের আশপাশের অসংখ্য গাছপালা, বাড়িঘর, জমির ফসল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ