প্রায় ২৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় ঢাকা ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলামকে জামিন দেননি হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ। গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তার পক্ষে জামিনের শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শরীফ আহমেদ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট একেএম ফজলুল হক।
আদেশের পর  তিনি জানান, একে অন্যের যোগসাজশে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার, জাল রেকর্ডপত্র তৈরি করে প্রতারণামূলক ভুয়া রফতানি দেখিয়ে ২৬টি রফতানি বিল ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ধানমন্ডি শাখায় জমা দেন আমিনুল ইসলামসহ ৭ আসামি। পরে তারা ১৭টি বিলের বিপরীতে ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ৯৮ হাজার ১২৬ টাকা উত্তোলন করেন। এর মধ্যে তিনটি বিলের মূল্য এবং চতুর্থ বিলের আংশিক মূল্যসহ মোট ৫ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যাংকে ফেরত দেন এবং অবশিষ্ট ১৪টি বিলের ২১ কোটি ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৪৭১ টাকা আত্মসাৎ করেন তারা।
এ ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন ৭ জনকে আসামি করে ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্তাধীন রয়েছে। আমিনুল ইসলাম ছাড়াও সিমেক্স লেদার প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান তালহা শাহরিয়ার আইয়ুব ওরফে টি এস আইয়ুব, তার স্ত্রী পরিচালক তানিয়া রহমান, ঢাকা ব্যাংকের এভিপি ও সিপিসি সুলতানা ফাহমিদা, মেসার্স এস অ্যান্ড এস এজেন্সির মালিক বিভ‚তি ভ‚ষণ বালা, মেসার্স জামান এন্টারপ্রাইজের মালিক শেখ আসাদুজ্জামান মিন্টু এবং মেসার্স সাদাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. আমিনুল ইসলাম।