মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বব্যাপী বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠেছেন মার্কিন নাগরিক কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড। গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে শেতাঙ্গ পুলিশের নিপীড়নে তার মৃত্যুতে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে গোটা বিশ্ব। স্থানীয় সময় সোমবার হিউস্টনে তাকে চির বিদায় জানাতে সমবেত হয়েছিল হাজার হাজার মানুষ। কৃষ্ণাঙ্গ বীরকে ‘গুড বাই’ জানানোর দিনেও মানুষদের কণ্ঠে ছিল প্রতিবাদের ভাষা।
দক্ষিণ হিউস্টনে যেখানে ফ্লয়েড বেড়ে উঠেছিলেন, সেখানকার ফাউন্টেন অব প্রেইসে হয় ফ্লয়েডের শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতা। দীর্ঘ লাইন ধরে ফ্লয়েডের সোনালি কফিনে ফুল দিয়ে সম্মান জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
ফ্লয়েডের ‘আই কান্ট ব্রিথ’ হয়ে উঠেছে প্রতিবাদকারীদের মূল স্লোগান। হিউস্টনে ফ্লয়েডকে চিরবিদায় জানাতে আসা মানুষদের গায়েও ছিল সেই স্লোগান লেখা টি-শার্ট।
তবে আগত শোক সন্তপ্তদের চার্চের ভেতর প্রবেশ করার সময় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নির্দেশনা অনুযায়ী অবশ্যই মাস্ক পরতে হয়েছে। ফ্লয়েডের কফিনের পাশে বেশিক্ষণ দাঁড়ানোর সময়ও দেওয়া হয়নি তাদের।
ফ্লয়েডকে শেষ বিদায় জানাতে স্ত্রী ও দুই শিশু ছেলে সন্তানসহ সপরিবারে উপস্থিত হন ৪১ বছর বয়সী কেলভিন শেরড। তাদের সবার পরনে ছিল ‘আই কান্ট ব্রিথ’ লেখা টি-শার্ট।
এসময় ফ্লয়েডের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলেদের নিয়ে এখানে আসতে পারার মানেটা অনেক বড়। এই সময়টা ইতিহাসের অংশ। তারা মনে রাখবে যে, তারাও এটার অংশ হয়েছিল। শুধু গায়ের রঙের ওপর ভিত্তি করে নয়, এটা আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছে।’
জোসেপ কোয়াল যিনি ফ্লয়েডের সঙ্গে একই হাইস্কুলে পড়েছেন, তার কাছে এই মৃত্যুটা যেন আরও ভারী কিছু। কোয়াল বলেন, ‘আমার জানা মতে, আমার প্রতিবেশীদের মধ্যে স্কলারশিপ পাওয়া সেই প্রথম ব্যক্তি।’
ফোর্ট বেন্ড মেমোরিয়াল প্ল্যানিং সেন্টারের সূত্রে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ৪৬ বছর বয়সী ফ্লয়েডকে তার মায়ের পাশেই কবর দেওয়া হবে। তার আগে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ৬ হাজার ৩৬২ জন এসেছিলেন শেষকৃত্যে। স্থানীয় টেলিভিশন স্টেশন খোউ টিভিকে এ তথ্য দেন আয়োজকরা।
ফ্লয়েড তার এলাকায় সবার কাছে আদর্শ ছিলেন বললেন ভাই ফিলোনিসে ফ্লয়েড, ‘আমাদের প্রতিবেশীদের চোখে সে ছিল অন্যরকম। প্রথম সে-ই স্কলারশিপ পেয়েছিল এবং ফুটবল কিংবা বাস্কেটবল যখনই চাইতো খেলতে পারতো।’
ভাইয়ের মৃত্যু কাঁদাচ্ছে ফিলোনিসেকে, কিন্তু তার বিশ্বাস ন্যায়বিচার পাওয়ার, ‘খুব কষ্ট হচ্ছে। আমরা বিচার পাবোই, অবশ্যই। এই দরজা বন্ধ হতে দিবো না।’ ছোট ভাই রডনি ফ্লয়েড বলেছেন, ‘সে বলতো পৃথিবীকে এক করতে যদি তার জীবন দিতে পারতো। আমি বলবো সে পেরেছে।’
টেক্সাস গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট ও মেয়র সিলভেস্টার টার্নার চার্চে এসেছিলেন। সামাজিক দূরত্ব মেনে ১৫ জনকে মাস্ক পরে ফ্লয়েডের কফিন দেখার জন্য সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।
আগতদের অনেকেই ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ লিখা টিশার্ট পরেছিলেন এবং তাদের মুখে ছিল ফ্লয়েডের শেষ কথা ‘আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।’ কফিনের কাছে গিয়ে অনেকেই ভেঙে পড়েন কান্নায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।