পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাত বছরের শিশু ফাহিম কোন এক দরকারে মায়ের কাছে পাঁচ টাকার বায়না ধরেছিলো। হতদরিদ্র নিঃস্ব মা টাকা দিতে পারেননি উল্টো কড়া শাসনের মুখে পড়ে ফাহিম। বাবার কাছে টাকা চাইলেও একই অবস্থা হয় শিশুটির। এই ক্ষোভে মাকে আঘাত করে বসে শিশুটি। হাসুয়ার কোপে রক্তাক্ত মাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে মায়ের দেহে প্রাণ নেই।
আঘাতের পর হতবিহ্বল শিশুটি মা ফাতেমার রক্তাক্ত দেহ দেখে দৌড়ে আশ্রয় নেয় ফুফুর বাড়ি। গতকাল সোমবার সকালে রাজশাহীর দামকুড়া থানার বেড়পাড়া পূর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মায়ের নাম ফাতেমা-তুজ-জোহরা (২২)। ফাতেমার স্বামীর নাম রবিউল ইসলাম। তিনি একজন দিনমজুর।
দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, পাঁচটি টাকা চেয়ে না পেয়ে ক্ষুব্ধ শিশুটি মাকে হাসুয়া দিয়ে কোপ দিয়েছে। এরপর সে তার ফুফুর বাড়িতে চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে তাকে আনা হয়েছে। সে সব স্বীকার করছে। মা তাকে টাকা দেয়নি। বাবা মেরেছে। মাও মেরেছে, তাই রাগ করে সে মাকে হাসুয়া দিয়ে আঘাত করেছে। এতে মায়ের রক্ত বের হয়েছে। এটা সে জানে। এরপর যখন তাকে জানানো হলো যে তার হাসুয়ার আঘাতে তার মা মারা গেছে, তখন সে মায়ের জন্য কাঁদতে শুরু করে। শিশু ফাহিমকে আমরা কোলে নিয়ে আদর করেই ঘটনা জানতে চেয়েছি। সে সাবলীলভাবেই ঘটনার বর্ণনা দেয়। সে বলে, এখন মা মরে গেছে কি করবো বুঝতে পারছি না।
এই অবস্থায় কী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ঘটনা নিয়ে তারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন। ৯ বছরের কম বয়সী কোনো শিশুর অপরাধকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার আইনি বিধান নেই। তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এবং বিচারকদের সঙ্গেও পরামর্শ করছেন। বিভিন্ন পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম মতামত দেয়া হচ্ছে। বেলা দেড়টায় ওসির সঙ্গে কথা হয়। তিনি কোনোই সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি বলে জানান।
শিশুটির মায়ের লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা আছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।