পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চাল চুরি ও ত্রাণ আত্মসাতের মামলা নিয়ে এখন ব্যস্ত দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সময় যত কঠিনই হোক চুরি, ত্রাণ চুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না-মর্মে প্রায়ই হুঙ্কার ছাড়ছে প্রতিষ্ঠানটি। একই সঙ্গে করোনার কারণে নির্বিকার থাকারও কৌশল নিয়েছে বৃহৎ এবং আলোচিত সব দুর্নীতি মামলার তদন্ত অনুসন্ধান প্রশ্নে। ত্রাণ চুরি রোধে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম প্রশংসিত হলেও বৃহৎ দুর্নীতির ঘটনায় নির্বিকার হতাশার জন্ম দিয়েছে বিশ্লেষকদের মনে।
দুদক সূত্র জানায়, টানা ৬৭ দিন সাধারণ ছুটি কাটায় দুদক। তবে এ সময়ের মধ্যেও সরকারি চাল চুরি, ত্রাণ চুরির মামলা করে অস্তিত্বের জানান দেয় সংস্থাটি। গত ৩ মাসে ৩৫টির মতো সরকারি চাল ও ত্রাণ চুরির অভিযোগে মামলা করে দুদক। এতে আসামি করা হয় ৯৪জন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে। সাধারণ ছুটি শেষে গত ৩১ মে থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু করে। কর্মকর্তা-কর্মচারিদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে দুদক। কারণ করোনার শুরুর দিকেই দুদকের একজন পরিচালক মারা যান করোনা আক্রান্ত হয়ে। পরে আরও একজন কর্মচারি মারা যান।
এছাড়া একাধিক কর্মকর্তা এখন আক্রান্ত হয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এ বিষয়টি মাথায় রেখে দুদক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কর্মকর্তাদের প্রায় সবাই এখন ডেস্ক-ওয়ার্ক করছেন। অনুসন্ধান ও তদন্তের কাজে খুব একটা বাইরে যাচ্ছেন না। সেগুনবাগিচাস্থ প্রধান কার্যালয়ে অতিথি আগমনে আরোপ করা হয়েছে কঠোরতা। গণমাধ্যম কর্মীদের ওপরও আরোপ করা হয়েছে ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ। মামলার তদন্ত এবং অভিযোগ অনুসন্ধানও স্থগিত হয়ে আছে। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত সশরীরে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। করোনাকালীন এই কার্যক্রমের ফলে প্রায় বন্ধই হয়ে গেছে তদন্ত-অনুসন্ধান কার্যক্রম।
দুদক সূত্র জানায়, দুই মাসের বেশি সময় দুদকের তদন্তাধীন অন্তত ৮ হাজার মামলা ও অনুসন্ধান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরও তলব করা হচ্ছে না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য-উপাত্ত চেয়ে দেয়া রিকুইজিশন লেটারের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। কর্মহীন অবস্থায় অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়ে দুদক। নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে আসামি ও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা রয়েছেন আয়েশি অবস্থায়। বিশেষ করে বড় পুকুরিয়া খনি দুর্নীতি, বালিশকান্ড, পর্দা কান্ড, ক্যাসিনো কান্ড, ফারমার্স ব্যাংক দুর্নীতি, বেসিক ব্যাংক মামলা, সেকেন্ড হোম অনুসন্ধান, পানামা পেপারস, সরকারদলীয় এমপিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নির্বিঘ্ন সামাজিক জীবন যাপন করছেন। করোনা তাদের নির্বিঘ্ন জীবনে আনুকূল্য এনে দেয়।
পাশাপাশি দুদকের নিস্ক্রিয়তাও তাদের জন্য কাজ করছে বাড়তি সুবিধা হিসেবে। করোনার পস্থিতি উত্তরণের পর কবে দুদক পূর্ণমাত্রায় সক্রিয় হতে পারবে- নিশ্চিত বলতে পারছেন না কেউ। তবে এ পরিস্থিতির মধ্যেও দুদকের সীমিত পরিসরে হলেও সক্রিয়তা আশা করছে বিশ্লেষকরা। যদিও নিষ্ক্রিয়তার বিষয়টি অস্বীকার করে দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব ভট্টচার্য বলেন, দুদক কখনো নিষ্ক্রিয় ছিলো না। সাধারণ ছুটির মধ্যেও দুদক মামলা করেছে। এখনও বহু মামলা তদন্ত প্রক্রিয়ায় রয়েছে। সব দুর্নীতিই দুর্নীতি। দুদক সব মামলাকেই সমান গুরুত্ব দেয়।
এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এখন একটি বিশেষ সময় অতিক্রম করছে বিশে^। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। করোনার মধ্যেও বহু দুর্নীতি-অনিয়মের খবর দেখি। দুদকের উচিৎ পক্ষপাতমূলক অভিব্যক্তি থেকে বেরিয়ে এসব দুর্নীতি নিয়ে কাজ করা। ত্রাণের চাল চুরিও একটি দুর্নীতি। এবং এটি ধরা খুবই জরুরি। কিন্তু তাই বলে প্রভাবশালী দুর্নীতিবাজদের কোনো ধরণের সুবিধা দিয়ে নয়। অনুসন্ধান-তদন্তে বৈষম্যমূলক সংস্কৃতি থেকে প্রতিষ্ঠানটির বেরিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।