সাতক্ষীরায় পুলিশের জব্দকৃত ৪৮ মে:টন গম আম্পানে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত আশাশুনি ও শ্যামনগরের ৬ টি দুর্গত ইউনিয়নে বিতরণের আদেশ দিয়েছেন সাতক্ষীরার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত। গতকাল ৭ জুন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের (ভার্চুয়াল) বিচারক
সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এই আদেশ প্রদান করেন।
তবে,আদেশের চুড়ান্ত কপি সরবরাহ হয় আজ ৮ জুন সকালে।
আদালতের আদেশে জব্দকৃত গমের ৫ কেজি নমুনা সরূপ আলামত হিসেবে রেখে সমুদয় গম আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ও প্রতাপনগর এবং শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালীনি এবং কৈখালী এই ৬টি ইউনিয়নের জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক এই গম ৬টি ইউনিয়নের দুর্গতদের মাঝে সমানভাবে বন্টন করবে।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে পাচার করা কাবিখা প্রকল্পের ৪৮ মঃটন গম কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের সুলতানপুরের মেসার্স মনি মুক্তা রাইস মিলের গুদাম থেকে উদ্ধার করেছ পুলিশ।
এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মেসার্স মনিমুক্তা রাইস মিলের মালিক আব্দুল গফ্ফারের ছেলে মনিরুল ইসলাম মনি, মিলের ম্যানেজার দেবহাটার আশকারপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে মুজাহিদুল ইসলাম মুকুল ও শ্যামনগর উপজেলার কৈখালি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য পবিত্র মণ্ডল।