গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
হযরত শাহজারাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রোববার দিবাগত গভীর রাতে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা ৭ প্রবাসী কর্মীর লাশের কফিন দেখে উপস্থিত স্বজনদের মাঝে কান্নাররোল পড়ে যায়। পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতেই এসব রেমিট্যান্স যোদ্ধা ভিটেমাটি বিক্রি ও চড়া সুদে ঋণ নিয়ে বিদেশে গিয়েছিলেন। কিন্ত তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। বিদেশে কর্মরত অবস্থায় এসব প্রবাসী কর্মী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এদের মধ্যে অনেকেই অভিবাসন ব্যয়ের টাকাও তুলতে পারেননি। ঢাকা বিমানবন্দর কার্গো কল্যাণ ডেস্কের প্রধান সহকারী কামরুল ইসলাম এতথ্য জানান।
রাত ১১ টায় কাতার এয়ার লাইন্সের একটি ফ্লাইট (কে আর-৮০৪০) যোগে কুয়েতে মৃত ঢাকার প্রবাসী কর্মী রবিউল, সিলেটের মো. হারুন রশিদ, চাঁদপুরের মো. আলমগীর, কাতারে মৃত নোয়াখালির আব্দুল্লাহ, ওমানে মৃত চট্রগ্রামের মো. আব্দুল আলিম, মো.আলী ও কুমিল্লার জাকির হোসেনের লাশ ঢাকায় এসে পৌঁছে। এসব প্রবাসী কর্মীর লাশ গ্রহণের জন্য আত্মীয় স্বজনরা সন্ধ্যা থেকেই বিমান বন্দরে অপেক্ষা করতে থাকেন। এসব লাশ স্বজনদের হাতে তুলে দিলে তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। বিমান বন্দর প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ ডেস্ক এসব লাশ দাফন কাফনের জন্য ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তহবিল থেকে প্রত্যেক পরিবারকে ৩৫ হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা প্রদান করে। কল্যাণ ডেস্ক জানায়, আজ সোমবার রাতে মালয়েশিয়া থেকে একটি ফ্লাইট যোগে দেশটিতে মৃত ২৭ প্রবাসী কর্মীর লাশ ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে। জানা গেছে, মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের চরম উদাসিনতার দরুণ এসব লাশ দেশে আসতে দীর্ঘদিন বিলম্ব হচ্ছে। দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে এখনো বেশ কিছু প্রবাসী কর্মীর লাশ পড়ে রয়েছে। এসব লাশ দ্রুত দেশে পাঠাতে মালয়েশিয়া সরকার বার বার চাপ দিচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।