পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর কমলাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে লিবিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের সাথে জড়িত সুজন নামে এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। গত শনিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। অন্যদিকে মুগদার মদিনাবাগ এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের ফাঁকা স্থান দিয়ে নিচে পড়ে জুয়েল মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি পেশায় বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি ছিলেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (পশ্চিম) অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহাদাত হোসেন সুমা জানান, গত শুক্রবার রাতে সুজনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন লিবিয়ায় গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ইছার উদ্দিনের স্ত্রীর বড় ভাই মোহাম্মদ আলী। মানবপাচারকারী এই চক্রটি ইছার উদ্দিনসহ ভৈরবের সজল ও বিজয় নামে তিন জনকে লিবিয়া পাঠিয়েছিল। তাদের মধ্যে দু’জন নিখোঁজ রয়েছেন। একজনকে মানবপাচারকারী চক্রের টর্চার সেল থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, প্রতারকচক্রটি সুকৌশলে দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশ থেকে লিবিয়ায় মানবপাচার করে আসছিল। এদের আরও কয়েকজন সহযোগীকে ধরতে ডিবি পুলিশের অভিযান চলছে।
মামলার বাদী মোহাম্মদ আলী জানান, কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার হযরত আলী, তার ছেলে সজীব, সুজন ও সঞ্জিত মিলে ইছারকে লিবিয়া পাঠায়। তাদের সঙ্গে একই এলাকার জাফর, মামুন, শাকিল ও কাউছার বিদেশে মানবপাচার করে থাকে। জাফর ও সজীব আগে লিবিয়ায় থাকতো। সেখান থেকে দেশে ফিরে লোকজনকে অনেক টাকা আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়া নিয়ে টর্চার সেলে আটকে রেখে নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায় করে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) গোলাম মোস্তফা রাসেল সাংবাদিকদের বলেছেন, মানবপাচারকারী এই চক্রের সব সদস্যকে শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। শিগগিরই সুজনের সহযোগীদের গ্রেফতার করা যাবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, নিহতের সহকর্মী জসিম জানান, ১০ তলা ভবনের দোতলায় কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত লিফটের ফাঁকা দিয়ে নিচে পড়ে যান জুয়েল। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে স্থানাস্তর করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে বিকেল ৪টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই আবদুল খান জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। মৃত জুয়েল মিয়ার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধায়। বর্তমানে তিনি পরিবার নিয়ে মদিনাবাগ এলাকার ভাড়া বাসায় থাকতেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।