বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই মিশন ফের শুরু হচ্ছে আগামী অক্টোবরে। করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হওয়া বাছাই পর্বের বাকি ম্যাচগুলো আয়োজনের নতুন দিনক্ষণ তিনদিন আগে চুড়ান্ত করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। এএফসি নির্ধারিত নতুন সূচি অনুযায়ী ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে আগামী ৮ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। লাল-সবুজদের এই হোম ম্যাচটি সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে। ১৩ অক্টোবর দোহায় স্বাগতিক কাতারের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে মাঠে নামবে জামাল ভূঁইয়া বাহিনী। ১২ ও ১৭ নভেম্বর যথাক্রমে ভারত এবং ওমানের বিপক্ষে ঢাকায় হোম ম্যাচ খেলে বাছাই মিশন শেষ করবে বাংলাদেশ জাতীয় দল। বাছাইয়ের বাকি ম্যাচের দিনক্ষণ চুড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই বেশ তৎপর জাতীয় দলের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে।

করোনাকালে ইংল্যান্ডে থাকলেও নিয়মিতই ফুটবলারদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ রেখেছেন জেমি। এই পরিস্থিতিতেও শিষ্যদের ফিটনেস ধরে রাখতে নানা নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বাছাই পর্বের বাকি চার ম্যাচকে সামনে রেখে প্রয়োজন ভালো প্রস্তুতির। অক্টোবরের দু’ম্যাচের আগে প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় চান জেমি। এর মধ্যেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে কাজ চলছে। চুক্তির দ্বারপ্রান্তে দু’পক্ষই। তবে এসবের মাঝেই শিষ্যদের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতির একটা পরিকল্পনাও করে রেখেছেন এই ইংলিশ কোচ। রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে জেমি বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই ফুটবলাররা খেলার মধ্যে নেই। এক দিক দিয়ে তারা বেশ কিছুদিন বিশ্রামও পাচ্ছে। যেহেতু বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের দিনক্ষণ প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে। তাই আমি মনে করি এর প্রস্তুতির জন্য অন্তত পক্ষে পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহ সময় প্রয়োজন।’

জাতীয় দলের প্রাথমিত স্কোয়াডের জন্য ৩৫ জনের বেশি খেলোয়াড়কে ডাকা হতে পারে। জেমির ইচ্ছা সেরকমই, ‘ঘরোয়া ফুটবলে যারা ভালো করেছে, তাদেরকেই ডাকা হবে। সেই সংখ্যা ৩৫ জনের বেশি হবে। নতুন মুখও দেখা যেতে পারে। তাদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে চূড়ান্ত দল হবে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলতে চাই আমি।’

এই সময়ে অনুশীলন ছাড়াও বাড়তি বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি বলে মনে করেন জাতীয় দলের কোচ। তার কথায়, ‘অনুশীলনে সর্বোচ্চ সুবিধা যেন থাকে সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে বাফুফেকে। এরই মধ্যে খেলোয়াড়দের ফিটনেস ধরে রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আবাসিক ক্যাম্প শুরুর আগে এসব নিয়েও কাজ করতে হচ্ছে।’