বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পৃথক দুই ঘটনায় দুই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তদের পরিবার আনোয়ারা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই কিশোরীদের ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আনোয়ারা থানায় অভিযোগ ও ধর্ষিতাদের পরিবারের সাথে কথা বলে জানাযায়, গত রমজানে ঈদের বাজার করার জন্য ওই কিশোরীটি উপজেলার চাতরী চৌমহনী বাজারে আসলে সেখানে বাঁশখালী উপজেলার প্রেমাশিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওর্য়াডের আবু ছালেকের পুত্র মো. সেলিমের (২২) সাথে পরিচয় ঘটলে উভয়ে মোবাইল নং আদান-প্রদান করে। পরবর্তিতে কৌশলে গত ১ জুন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মুঠোফোনের মাধ্যমে ওই কিশোরীকে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে যায়। গত শনিবার কিশোরীটি মুঠাফোনে তার বাবাকে এ ঘটনা অবহীত করলে পরিবারের লোকজনের সহায়তায় পুলিশ গত শনিবার বিকালে অভিযুক্ত সেলিমসহ কিশোরীটিকে উদ্ধার করে।
অপরদিকে আত্মীয়তার সম্পর্কের জের দরে ধর্ষকের পিতা আবু তালেব তার স্ত্রী অসুস্থ্যতার কথা বলে কিশোরীটিকে মামা আবু তালেবের বাসায় নিয়ে আসে। এই সুযোগে গত ২৬ এপ্রিল রাতে জাকির হোসেন মেয়েটিকে প্রথম ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পর্যাক্রমে ধর্ষণ করলে মেয়েটি প্রথমে তার মামা মামীকে ঘটনা জানালে তারা তাকে এঘটনা কাওকে না বলতে বারণ করে বিয়ের আশ্বস্থ করে। পরে মেয়েটি পালিয়ে তার বাড়ি গিয়ে মা বাবাকে এঘটনা জানালে তারা গত শনিবার রাতে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ ধর্ষক জাকির হোসেন ও তার পিতা আবু তালেবকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল রবিবার সকালে ওই কিশোরিদের ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
উভয় ঘটনায় কিশোরীদের পিতা বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তদের জেল হাজতে প্রেরণ করে।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুলাল মাহমুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পৃথক দুইটি ধর্ষণের ঘটনায় আনোয়ারা থানায় শনিবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দুইটি পৃথক মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। কিশোরীদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।