মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিতর্কিত লাদাখ সীমান্তে সেনা সমাবেশ ঘিরে দুই প্রতিবেশি দেশ চীন ও ভারতের মধ্যে চলছে তুমুল উত্তেজনা। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শিল্পোন্নত দেশগুলোর সংগঠন জি-৭ এর অন্তর্ভুক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছে। আর এতেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বেইজিং। ভারত আগুন নিয়ে খেলছে, যার ফল তাদের ভুগ করতে হবে বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন।
দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস এক প্রতিবেদনে বলছে, ভারত, রাশিয়া এবং অন্য কয়েকটি দেশকে জি-৭ এ অন্তর্ভুক্ত করে এই গোষ্ঠীকে জি-১০ বা জি-১১ হিসেবে তুলে ধরার স্বপ্ন দেখছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উন্নত দেশগুলোর লাভ হলেও ভারতের ক্ষতি হবে। ভারত-চীন সীমান্ত উত্তেজনার সুযোগ নিয়ে বেইজিংকে আরও চাপে রাখতেই ট্রাম্প এমন কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন বলেও দাবি করেছে গ্লোবাল টাইমস।
সীমান্ত বিবাদের জেরে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ইতিমধ্যেই তলানিতে ঠেকেছে। সেই আবহেই সম্প্রতি ভারত এবং রাশিয়াকে জি৭ বৈঠকে যোগ দেওয়ার তৎপরতা শুরু করেছে আমেরিকা। রাশিয়া এ বিষয়ে চুপ থাকলেও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে ডোনাল্ড ট্রাম্প এ প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন। তাতেই যারপরনাই ক্ষুব্ধ চীন। চীন এদিন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, আমেরিকার সমর্থন নিয়ে ভারত যদি জি-৭ বৈঠকে অংশ নেয় তবে সেটা আগুন নিয়ে খেলার সমান হবে। এর জেরে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে ভারতকে, সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে! খবর এবিপির।
চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, রাশিয়া এবং অন্যান্য দেশগুলোকে জি৭ বৈঠকের শামিল করে ট্রাম্প চাইছেন এটিকে জি১০ অথবা জি ১১ তৈরি করতে। চীনের দাবি, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ আসলে চীনকে সমস্ত দিক থেকে দাবিয়ে রাখার প্রচেষ্টা।
চীনের সংবাদ মাধ্যমে আরও জানানো হয়েছে, ভারতের বর্তমান সরকার ক্ষমতালোভী। ট্রাম্পের এই চাল তাদের নজরে আসছে না। ভারত-চীন সীমান্ত দ্বন্দ্বে নিজেকে শক্তিশালী প্রমাণ করতে আমেরিকার সাহায্য নিয়ে জি৭ বৈঠকে যোগ দিতে চাইছে ভারত। পাশাপাশি অভিযোগ, ভারতের চীন বিরোধী নানা সংগঠন সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ভারত সরকার সেগুলো আটকাতে ব্যর্থ। এশিয়ার মধ্যে চীন যেভাবে নিজেদের শক্তি ধীরে ধীরে বাড়াতে শুরু করেছে, তাতেই তার শত্রুর সংখ্যা বাড়ছে জি৭কে বাড়ানো চীনের শক্তিকে আটকানোর একটা পরিকল্পনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।