বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। মৃত্যুহারে বয়স্কদের চেয়ে বেশি কম বয়সীরা। গতকাল শনিবার পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৯৪ জন। তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৩৬ জন। আর ষাট বছরের নীচে ৪৮ জন। শিশু-কিশোর চার জন, ২১ থেকে ৪০ বছরের ১২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৫ জন এবং ৫১ থেকে ৬০ বছরের ২৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৭০ জন আর নারী ২৪ জন।
চিকিৎসকেরা বলছেন, সারাবিশ্বে করোনায় বয়স্কদের মৃত্যুহার বেশি। তবে করোনার সাথে অন্যান্য রোগ থাকায় চট্টগ্রামে কম বয়সীদের মৃত্যু বেশি হয়েছে। এজন্য পর্যাপ্ত শয্যা এবং আইসিইউর অভাবে যথাসময়ে চিকিৎসা না পাওয়াও বড় কারণ বলে মনে করেন অনেক চিকিৎসক। শুরুতে যারা মারা গেছেন তাদের অনেকে হাসপাতালে ভর্তিরও সুযোগ পাননি। কারণ তাদের নমুনা রিপোর্ট আসতেই সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। অনেকের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে মৃত্যুর পরে।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, কম বয়সী যারা মারা গেছেন তাদের অন্য জটিল রোগ ছিলো। করোনায় সবচেয়ে বেশি রোগী মারা গেছে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপতালে। এ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব বলেন, বেশির ভাগ রোগীর কোভিট-১৯ এর পাশাপাশি ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনি ও হৃদরোগ ছিলো। গতকাল সেখানে ফরহাদ হোসেন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। তিনি করোনার সাথে ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন।
এদিকে করোনা এবং উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার সাথে হাসপাতালে শয্যা, আইসিইউ এবং অক্সিজেন সঙ্কটে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-শঙ্কা বাড়ছে। আতঙ্কে অনেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনতে শুরু করেছেন। এতে বাজারে অক্সিজেনের সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে অনেকে বাসা-বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে বাজারে সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে হাসপাতালে শঙ্কটাপন্নদের জন্য অক্সিজেন পাওয়া যাবে না। অপরদিকে করোনায় চিকিৎসায় চট্টগ্রামে শয্যা বাড়ছে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে গতকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
চমেক হাসপাতাল এবং জেনারেল হাসপাতালেও শয্যা বাড়ানো হয়েছে। সিভিল সার্জন জানিয়েছেন এ দুটি হাসপাতালে এখন প্রায় পৌনে তিনশ রোগী আছেন। মঙ্গলবার থেকে ইউএসটিসিতে চিকিৎসা শুরু করা হবে। নতুন করে ১৪০ জনসহ চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত আক্রান্ত তিন হাজার ৮০৬ জন। গতকাল উপসর্গ নিয়ে দুই জনসহ মারা গেছেন তিনজন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন আরও ১৫ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৬৪ জন আর বাসায় আইসোলেশনে আছেন ৩৭৭ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।