Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পঙ্গপাল ঠেকাতে পাকিস্তানে সেনা মোতায়েন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২০, ৫:২৪ পিএম

পাকিস্তানে গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক রকমের আক্রমণ শুরু করেছে পঙ্গপাল। হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল মুহূর্তের মধ্যে সাবার করে যাচ্ছে মরুপঙ্গপালের দল। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যেই মাঠানো নামানো হয়েছে হাজার হাজার সেনা।
জানা গেছে, খুব দ্রুত পঙ্গপালের আক্রমণ ঠেকাতে না পারলে শত শত কোটি ডলারের ফসল নষ্ট হবে এবং এতে মারাত্মক রকমের খাদ্য সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে পাকিস্তান।
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী এবং কৃষি মন্ত্রণালয় ও খাদ্য বিভাগ পঙ্গপালের আক্রমণ ঠেকানোর জন্য যৌথভাবে কীটনাশক ব্যবহার শুরু করেছে। এ কাজে তারা বিমান ব্যবহার করছে।
গতকাল (শুক্রবার) পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, পঙ্গপালের আক্রমণ ঠেকানোর জন্য কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে যাতে হাজার হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার ফসল রক্ষা করা যায়।
একেকটি ঝাঁকে এক হাজার কোটি পর্যন্ত পোকা থাকতে পারে এবং দিনে ২০০ কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করতে পারে এরা। তাদের যাত্রা পথে খাওয়ার উপযোগী সব ধরণের ফসল, গাছপালা ধ্বংস করে দিয়ে যায় তারা।
একটি এলাকায় তাদের খাবার শেষ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই দলবেঁধে সেখান থেকে চলে যায় তারা। বাতাসের গতিপথ যেদিকে থাকে, পঙ্গপাল সেদিকে অগ্রসর হয়। কাজেই তারা সবসময়ই নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে যায় - এমন এলাকায় যেখানে বৃষ্টি হয়, অর্থাৎ শস্য উৎপাদনের জন্য আদর্শ জায়গা।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা'র তথ্য অনুযায়ী, একটি মাঝারি আকৃতির পঙ্গপালের ঝাঁক যে পরিমাণ ফসল ধ্বংস করতে পারে, তা দিয়ে আড়াই হাজার মানুষকে এক বছর খাওয়ানো সম্ভব।
পঙ্গপাল দল বেঁধে চলে এবং একদলে পাঁচ কোটির বেশি পোকা থাকতে পারে এবং প্রতি বর্গমিটার ফসলের ক্ষেতে এক হাজারটি পঙ্গপাল বসতে পারে।
সম্প্রতি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের পূর্বাঞ্চল, সিন্ধু প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চল এবং বেলুচিস্তান প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পঙ্গপালের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এ কারণে পাকিস্তানের খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। সূত্র: পার্সটুডে



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ