বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রেলপথে আমদানি-রফতানি সুগম করতে শর্তসাপেক্ষে বেনাপোল-পেট্রাপোল রুটে পার্শ্ব-দরজাবিশিষ্ট কন্টেইনার ট্রেন চালুর অনুমতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর মধ্য দিয়ে এখন ভারত থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি করতে পারবে বাংলাদেশ। এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও চুক্তি) আকতার হোসেন স্বাক্ষরিত গত বৃহস্পতিবারের এক আদেশে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, বেনাপোল-পেট্রাপোলের সব অংশীজন এনবিআরের আদেশের আলোকে নিজ নিজ পণ্য বা কার্গো আমদানি করতে পারবে। আগে শুধু বাল্ক কার্গো যেমন পাথর, পাথর চিপস, ধান, চাল রেলে আমদানি হতো। এখন থেকে সব রকমের পণ্য পণ্যবাহী ট্রেনে করে আনা যাবে। তবে এই অনুমতি শুধু চলমান করোনাসঙ্কট পর্যন্ত বহাল থাকবে।
আদেশে বলা হয়েছে, গত ৪ মে কোভিড-১৯ সংক্রমণকালীন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রেলপথে পরিবহনের বিষয়ে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এনবিআরের সঙ্গে একটি ভিডিও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ভারতের পক্ষ থেকে রেলপথে সব ধরনের পণ্য আমদানিতে সহায়তার অনুরোধ করা হয়। বিষয়টি পরীক্ষা করে মতামত প্রদানের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিকে আহবায়ক করে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতর প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কমিটি কয়েকটি সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করে। সুপারিশের মধ্যে অন্যতম হলো- বেনাপোল-পেট্রাপোল রুটে পার্শ্ব-দরজাবিশিষ্ট কন্টেইনার ট্রেন চালুর অনুমতি প্রদান। সুপারিশের আলোকে ছয়টি শর্তসাপেক্ষে এ অনুমতি প্রদান।
করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনা সত্তে¡ও বাণিজ্য শুরু করা যায়নি। কিন্তু মে মাসের শেষ সপ্তাহে বেনাপোল কাস্টম রেলকার্গোতে ধানবীজের একটি চালান ১০ মিনিটে শুল্কায়ন করে রেকর্ড করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।