বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বানিয়ারচর ক্যাথলিক গীর্জায় বোমা হামলার বিচার দীর্ঘ ১৯ বছরেও শুরু করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে নিহতদের স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। তারা বিচারের জন্য আর কত দিন অপেক্ষা করবেন এমন প্রশ্ন তুলেছেন। দ্রুত এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন তারা।
বোমা হামলায় নিহত সুমন হালদারের বাবা শুখরঞ্জন হালদার বলেন, এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা ও বিস্ফোরক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২২ বার বদল হয়েছে। এ কারণে সিআইডি অভিযোগ গঠন করেনি। ফলে আদালত বিচার কাজ শুরু করতে পারছে না। বিচারের জন্য আর কত কাল অপেক্ষা করবো। দ্রুত এ বোমা হামলার বিচার চাই।
তিনি আরও জানান, ২০০১ সালের ৩ জুন বানিয়ারচর ক্যাথলিক গীর্জায় সাপ্তাহিক প্রার্থনা চলাকালে বোমা হামলায় প্রার্থনারত ১০ জন নিহত হন। আহত হন অর্ধ-শতাধিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। নিহতরা হলেন- রক্সিড জেত্রা, বিনোদ দাস, মন্মথ সিকদার, সঞ্জীবন বাড়ৈ, পিটার সাহা, অমর বিশ্বাস, সতীশ বিশ্বাস, ঝিন্টু মন্ডল, মাইকেল মল্লিক ও সুমন হালদার।
এ ঘটনায় মুকসুদপুর থানায় ওই গির্জার তৎকালীন ফাদার পিতাঞ্জা মিম্মো বাদী হয়ে হত্যা ও বানিয়ারচরের বাসিন্দা পিটার বৈরাগী বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করেন। মামলা ২টিতে ৩৭ জনকে আসামি করা হয়। থানা থেকে মামলা দু’টিকে তদন্তের জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়। দুই মামলার প্রধান আসামি হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি মাওলানা আব্দুল হান্নান মুন্সির ফাঁসি অন্য মামলায় কার্যকর হয়েছে। এছাড়া এ মামলার ১২ আসামি জামিনে রয়েছে। পলাতক রয়েছে ৬ জন ও কারাগারে ৭ আসামি।
মুকসুদপুরের বানিয়ারচর গীর্জার ফাদার জেরম রিংকু গোমেজ বলেন, নিহতদের স্মরণে গত বুধবার গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন ও সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। তিনি আরো বলেন, ঘটনার ১৯ বছর পার হলেও এ ঘটনার বিচার শুরু হয়নি। নিহতদের স্বজনরা ক্ষোভ ও হতাশা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। দ্রুত এ ঘটনায় চার্জশিট আদালতে দাখিল করে বিচার শুরুর দাবি জানাচ্ছি।
গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধর বলেন, সিআইডি তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দিলেই বিচার শুরু হবে। ঘটনার ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও সিআইডি এ মামলার চার্জশিট দাখিল করতে পারেনি।
সিআইডির গোপালগঞ্জ ক্যাম্পের পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতেহ মো. ইফতেখারুল আলম বলেন, মামলা দু’টিতে বেশ কয়েকজন জঙ্গি সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। তদন্ত কাজ চলছে। তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করতে আরো সময় লাগবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।