পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মেঘনার বুকে সর্বাধিক নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ অপরূপ সাজে সাজানো হয়েছে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ভাসানচর। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হাতের ছোঁয়ায় গড়ে ওঠেছে সবুজ বেষ্টনী সম্পন্ন সৌন্দর্যমন্ডিত রোহিঙ্গা আশ্রয়স্থল।
এক সময়ের অখ্যাত ও জনমানবশূন্য ঠেঙ্গারচর পরবর্তীতে ’ভাসারচর’ নামধারন করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ আলোচিত হয়ে ওঠে। এ চরটি জেলেদের সাময়িক বিশ্রামস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হতো। শুষ্ক মৌসুমে হাতেগোনা কিছু মেষ পালকের বিচরণ ছাড়া সাধারণ মানুষ চরটি সম্পর্কে কিছুই জানত না। ২০১৬ সালে দৈনিক ইনকিলাবে এ বিষয়ে সর্বপ্রথম সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হবার পর ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে প্রধানন্ত্রীর নির্দেশক্রমে ভাসানচরে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ প্রায় তিনশত বর্গকিলোমিটার আয়তন এলাকায় নিরাপদ আশ্রয় ক্যাম্প গড়ে তোলা হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ঝড় জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষাকল্পে ১৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মিত হয়। ভাসানচরে নির্মিত হয়েছে ৪ তলা বিশিষ্ট ১২০টি সাইক্লোন শেল্টার, ভূমি থেকে ৪ ফুট উঁচু বাসস্থান ও ১৪৪০টি টিনশেড পাকাঘর। প্রতিটি শেডে থাকছে ১৮টি কক্ষ। পাকা টিনশেডের দুই পাশে রয়েছে পাকাঘর ও বাথরুম। চার সদস্য বিশিষ্ট প্রতিটি পরিবারের জন্য রয়েছে একটি কক্ষ। প্রতি কক্ষে রয়েছে দোতলা বিশিষ্ট ২টি বেড। ভাসানচরে বেড়িবাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, বাসস্থান, অভ্যন্তরীণ সড়ক, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, লাইন হাউজ, হেলিপ্যাড, চ্যানেল মার্কিং, রাডার স্টেশন, বোট ল্যান্ডিং সাইটসহ যাবতীয় সুবিধা রয়েছে।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা আবাসন সঙ্কট নিরসনে আশ্রায়ন প্রকল্প-৩ এর আওতায় সরকার ২৩১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। কক্সবাজারে স্থানীয়দের জীবন জীবিকা ও পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব পড়লেও ভাসানচর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হওয়ায় এতদ্বঞ্চলে রোহিঙ্গারা কোন প্রভাব ফেলতে পারবেন না বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতায় বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর তত্ত্বাবধানে আশ্রায়ন-৩ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়।
ভাসানচরে বর্তমানে তিন শতাধিক রোহিঙ্গা বসবাস করছে বলে ইনকিলাবকে জানিয়েছেন হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম। দুই দফায় এদেরকে ভাসানচরে পূনর্বাসন করা হয়েছে। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে ট্রলারে করে এদের পাচারের সময় নৌবাহিনী ট্রলারগুলো আটক করে। পরে তাদের জীবন রক্ষার্থে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে ভাসানচরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা সর্বক্ষেত্রে নিরাপদে রয়েছেন বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।