নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের ৮ জন নারী ফুটবলার কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন। পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে আঁখি-স্বপ্নারা প্রমাণ করেছেন শুধু মাঠের খেলাতেই নয়, পড়ার টেবিলেও তারা মনযোগী। সারা বছর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ক্যাম্পে থেকে অনুশীলন এবং নিয়মিত বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার পাশাপাশি লেখা-পড়াও যে মেয়েরা ভালো, তার প্রমাণ তারা দিয়েছেন এসএসসি পরীক্ষায় সফলতা পেয়ে। নারী ফুটবলারদের এমন সাফল্যে তাদের সংবর্ধনা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশের বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে বাফুফেকে এই আগ্রহের কথা জানিয়েছে তারা। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বাফুফের কাছে প্রস্তাব রেখেছে যে, নিজ নিজ বাড়ি থেকে ঢাকায় এনে আঁখি, শামসুন্নাহার (সিনিয়র), আনাই মোগিনীদের মিষ্টিমুখ করানো হবে। তবে বাফুফে পক্ষ থেকে পরিষ্কার বলা হয়েছে, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পর মেয়েরা যখন ক্যাম্পে উঠবেন তখনই তাদের এই সংবর্ধনা দেয়া যাবে। শুধু সংবর্ধনার জন্য নারী ফুটবলারদের কোনোভাবেই ঢাকায় আনা যাবে না। শুধু তাই নয়, নারী ফুটবলারদের সংবর্ধনা দিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে শর্তও জুড়ে দিয়েছে বাফুফে। সংবর্ধনায় তারা শুধু মেয়েদের মুখে মিষ্টি তুলে দিয়ে হাতে একটা ফুলের তোড়া ও সস্তা কোনো গিফট ধরিয়ে দেবে, সেটা হবে না। কারণ, বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা এখন আর আগের অবস্থানে নেই। তাদের সস্তা কোনো গিফট ধরিয়ে দিয়ে সংবধর্না দেওয়াটা এখন বেমানান। এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে বহুবার। মেয়েরা বিভিন্ন টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তাদের সংবর্ধনা দেয়ার হিড়িক পড়েছিল। আর সংবর্ধনার নামে কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের হাতে ঘটি-বাটি ধরিয়ে দিয়ে বিশাল মিডিয়া কাভারেজ নিয়ে গেছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বাফুফে এখন সতর্ক।
এ প্রসঙ্গে বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহিলা উইংসের চেয়ারপারসন মাহফুজা আক্তার কিরণ বুধবার বলেন, ‘আমি সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলেছি। যারা সংবর্ধনা দেবে তারা কিভাবে দেবে? মেয়েদের কি উপহার দেবে, সেটা যেন আগেই নিশ্চিত করা হয়। কারণ, উপহার অবশ্যই জাতীয় দলের মেয়েদের জন্য সম্মানজনক হতে হবে।’
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘যারা সংবধর্না দিতে চাচ্ছে, তাদের প্রথম ইচ্ছা ছিল- মেয়েদের ডেকে শুধু মিষ্টিমুখ করাবে। আমরা বলেছি সেটা হবে না। তাদের কি উপহার দেয়া হবে, তা আমাদের আগেই জানাতে হবে। আমরা তার মূল্য বিবেচনা করবো। মেয়েদেরকে দেয়া উপহার সম্মানজনক না হলে সংবর্ধনার অনুমতি দিবো না আমরা।’
এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন জাতীয় দলের অন্যতম খেলোয়াড় আঁখি খাতুন, রেহানা আক্তার, রিতু চাকমা, শামসুন্নাহার জুনিয়র ও সিনিয়র, আনাই মোগিনী, তহুরা আক্তার, মাহফুজা আক্তার, সাজেদা আক্তার ও সিরাত জাহান স্বপ্না। তাদের মধ্যে তহুরা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র ছাড়া বাকি সবাই উত্তীর্ণ হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।