বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মা-ছেলের দাফন সম্পন্ন
রাজাপুর (ঝালকাঠি) উপজেলা সংবাদদাতা : ঝালকাঠির রাজাপুরের দক্ষিণ আঙ্গারিয়া গ্রামের মিলবাড়ি এলাকায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সন্দেহের জেরেই দুই সন্তানকে নিয়ে স্বামীর সাথে অভিমান করে নিজঘরের বৈদ্যুতিক ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে স্ত্রী শিউলী বেগম (৩০) আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার বিকেলের এ ঘটনায় ছোট ছেলে ইউসুফ (৪) মারা গেলেও মাকে জড়িয়ে ধরে বড় মেয়ে চাঁদনী আক্তার (৬) সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। বর্তমানে চাঁদনী সুস্থ্য আছে। শিউলী বেগম আঙ্গারিয়া গ্রামের মিলবাড়ি এলাকার দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী। দেলোয়ার ঢাকায় ট্রাক চালান। শিউলী বেগম পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার পশ্চিম পাতাকাটা গ্রামের হারুন সরদারের মেয়ে। রোববার দুপুরে হারুন সরদার জানান, শিউলীর প্রথম বিয়ে হয় পিরোজপুরের এক ব্যক্তির সাথে। শিউলী বাবার কাছে লঞ্চযোগে ঢাকায় যাওয়ার সময় দ্বিতীয় স্বামী দেলোয়ারের সাথে পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরেই দক্ষিণ আঙ্গারিয়া গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেনের সাথে ৮ বছর পূর্বে প্রথম স্বামী ও এক মেয়ে সন্তান রেখে শিউলী বিয়ে বসেন। শিউলীকে বিয়ের আগে দেলোয়ারও আঙ্গারিয়া গ্রামের ফজলে তালুকদারের মেয়ে মরিয়মকে বিয়ে করেছিলেন। মরিয়মের সন্তান না হওয়ায় শিউলীকে বিয়ে করার পর মরিয়মকে তালাক দেয় দেলোয়ার। নিহত শিউলী বেগমের স্বামীর বাড়িতে এসে মা রহিমা বেগম ও বড় বোন হালিমা বেগম অভিযোগ করে জানান, দেলোয়ার বাড়িতে না থাকায় সংসারের বিভিন্ন প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে গেলেই ওই বাড়ির লোকজন দেলোয়ারকে ফোনে জানিয়ে দিতো। তখন দেলোয়ার স্ত্রী শিউলীকে ফোন দিয়ে চরিত্র নিয়ে নানা অশ্লিল গালমন্দ করতো। ঘটনার দিন শিউলী রাজাপুরে বাজার করে বাড়িতে ফিরে গেলে স্বামী তাকে ফোন করে একইভাবে রাজাপুরে কেন এবং কার কাছে গিয়েছিলি এ নিয়ে পূর্বের ন্যায় গালমন্দ করেছে বলে অভিযোগ শিউলীর মা ও বোনের। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানান, বর্তমানে দেলোয়ারের প্রথম স্ত্রী মরিয়ম বেগম আবার দেলোয়ারের সাথে বিয়ে বসার জন্য যোগাযোগ করে এবং বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে প্রস্তাব দেন। দ্বিতীয় স্ত্রী শিউলী বেগম এ ঘটনা জানতে পেরে স্বামী দেলোয়ারকে সন্দেহ শুরু করে এবং প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর উভয়ের মধ্যে কলহ লেগেই থাকতো। এসব ঘটনার জের ধরেই দুই সন্তান নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয় শিউলী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।