Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উখিয়ায় ব্রিজ নির্মাণ কাজ ফেলে পালিয়েছে ঠিকাদার ২০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে

প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

উখিয়া (কক্সবাজার) উপজেলা সংবাদদাতা : কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার দক্ষিণ বড়বিল তচ্ছাখালী খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রিজ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অনিয়মের পাশাপাশি নির্মাণ কাজ শেষ না করেই ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়ায় ৫টি গ্রামের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাঁশের সাঁকো দিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে পারাপার করছে শত শত মানুষ। চলতি বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল পড়ুয়া কচিকাঁচা শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২০ হাজার মানুষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলতি অর্থ বছরে ৩৫ লাখ ৬৯ হাজার টাকা ব্যয়ে উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়বিল তচ্ছাখালী খালের উপর ৪০ ফুট প্রস্থ ব্রিজ নির্মাণ কাজ গত ২৮ এপ্রিল শুরু করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার মনির আহমদ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার ব্রিজ নির্মাণ কাজে নি¤œমানের উপকরণ ব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নির্মাণ কাজ চালিয়ে আসছিলেন। শুরু থেকেই এলাকাবাসী এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করে আসছিল। তবে ব্রিজ নির্মাণ কাজ চালালেও বিকল্প যাতায়াতের জন্য কোনো প্রকার সেতু বা সাঁকো নির্মাণ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু গত কিছু দিন পূর্বে হঠাৎ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে পালিয়ে গেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। নিজ উদ্যোগে বাঁশের একটি সাঁকো স্থাপন করেন এলাকাবাসী।
ফলে বর্ষার মৌসুমে উপজেলা সদরের সাথে ৫টি গ্রামের সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
সরেজমিন দেখা গেছে, নির্মাণাধীন ব্রিজের পাশেই স্থাপন করা বাঁশের সাঁকো দিয়েই স্কুলে পড়–য়া কচিকাঁচা শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে। একইভাবে প্রায় ২০ হাজার মানুষ চলাচলের একমাত্র অবলম্বন হয়েছে এই বাঁশের সাঁকো।
পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মর্জিনা বেগম ও তাসলিমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদার পুরাতন ব্রিজটি ভেঙে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করার সময় বিকল্প যাতায়াতের জন্য কোনো প্রকার উদ্যোগ নেয়নি। ফলে বাঁশের সাঁকো দিয়ে আজ আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয় যেতে হচ্ছে।
অভিভাবকগণ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয় ব্যক্ত করে বলেন, ঠিকাদারের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে এলাকার শত শত মানুষ, স্কুল ও কলেজ পড়–য়া ছাত্রছাত্রীরা চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হয়েছে। এমনকি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল এপার থেকে ওপারে পরিবহন করা যাচ্ছে না।
সাবেক ইউপি সদস্য আবুল হাশেম জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ব্রিজের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ায় ৫টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি নির্মাণাধীন ব্রিজে আটকা পড়ে সহজেই লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে।
উখিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) অফিস সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় জনগণ ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে ও যাতায়াত সুবিধার্থে ৪০ ফুটের একটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। কিন্তু গত ১ মাস পেরিয়ে গেলেও তা আর বাস্তবায়ন করা হয়নি। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার হঠাৎ করে কেনই বা লাপাত্তা হয়েছেন সে বিষয়েও বিস্তারিত জানাতে পারেনি প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) অফিস সূত্রটি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উখিয়ায় ব্রিজ নির্মাণ কাজ ফেলে পালিয়েছে ঠিকাদার ২০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ