নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শুধু মাঠের খেলাতেই নয়, লেখাপড়াতেও সফল আঁখি-স্বপ্নারা। এবারের এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের ১০ খেলোয়াড়। এরমধ্যে সাফল্য পেয়েছেন ৮ জনই। এমন সাফল্যের পর আঁখি-শামসুন্নাহারদের লক্ষ্যও এখন আকাশচুম্বী।
এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন জাতীয় দলের অন্যতম খেলোয়াড় আঁখি খাতুন, রেহানা আক্তার, রিতু চাকমা, শামসুন্নাহার জুনিয়র ও সিনিয়র, আনাই মোগিনী, তহুরা আক্তার, মাহফুজা আক্তার, সাজেদা আক্তার ও সিরাত জাহান স্বপ্না। তাদের মধ্যে তহুরা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র ছাড়া বাকি সবাই উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এদের মধ্যে বিকেএসপি থেকে মানবিক বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছেন আঁখি। তার জিপিএ ৩.৮৩। খেলাধুলার সঙ্গে পড়াশোনাটাও সমানতালে চালাতে হয় বলে এই অর্জনেই খুব খুশি সিরাজগঞ্জের এই ডিফেন্ডার। সোমবার তিনি বলেন, ‘অনেক চাপের মধ্যে থেকে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হচ্ছে। পরীক্ষাও দিয়েছি অনেক কষ্ট করে। এভাবে ভালোভাবে পাস করবো তা অবশ্য চিন্তা করিনি। আমার পরিশ্রম স্বার্থক হয়েছে।’
আঁখিদের পরীক্ষার সময় নারী লিগের খেলা চলছিল। পরীক্ষার টেবিলে সেভাবে মনোযোগ ধরে রাখাটা ছিল কষ্টকর। আঁখি নিজেই বলেছেন সেই কথা, ‘পরীক্ষার শেষের দিকে লিগ শুরু হলো। আমার দল বসুন্ধরা কিংস খেলছে, আর আমি তখন পরীক্ষা দিচ্ছি। এছাড়া সতীর্থ অনেকেই যখন বিকালে পড়াশোনা করতো, তখন আমাকে মাঠে অনুশীলন করতে হয়েছে। একই সঙ্গে খেলা ও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াটা বেশ কষ্টদায়ক।’
তবে পরিশ্রম করেই লেখাপড়া চালিয়ে যেতে চান আঁখি, ‘আমার বাবা-মার বড় স্বপ্ন আমি একসময় লেখাপড়া করে শিক্ষিত হবো। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছা আছে আমার। যদি সুযোগ পাই, তাহলে সেনাবাহিনীতেও চাকরি করতে চাই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।