মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রে চীনা শিক্ষার্থীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় সোমবার ওয়াশিংটনকে প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে বেইজিং। গত শুক্রবার চীনের স্নাতক পর্যায়ের বিশেষ কিছু শিক্ষার্থী ও গবেষকের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি, চীন এ শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ চুরি করছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, চীন হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের ব্যাপারে দেওয়া অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে। হংকংয়ের বিরুদ্ধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলো হংকংয়ের জনগণ, চীন ও সারা বিশ্বের জন্য দুঃখজনক ঘটনা। এসব প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থা নেবে। শুধু তা-ই নয়, যারাই হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
চীনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন অভিযোগে এসব চীনা শিক্ষার্থী ও গবেষককে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে এরই মধ্যে স্বাক্ষরও করেছেন প্রসিডেন্ট ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, ওই শিক্ষার্থীরা তাদের নিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য হুমকি। তাদের ব্যবহার করে চীন যুক্তরাষ্ট্রের গোপনীয় তথ্য হাতিয়ে নেয়।
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্র আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দেশটি প্রচুর অর্থ আয় করে। আর গত কয়েক দশক ধরেই এ বিদেশি শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় অংশটি আসে চীন থেকে। বর্তমানে প্রায় তিন লাখ ৭০ হাজার চীনা শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। তবে যারা আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ের শিক্ষার্থী, তাদের ওপর ট্রাম্পের এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা সরাসরি প্রভাব ফেলবে না।
তবে চীন এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছে, 'এটি উভয় পক্ষের জন্যই ক্ষতিকারক হবে'। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বিবরণ ছাড়াই একটি নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেছেন, চীনের স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন কোনো শব্দ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে বেইজিং পাল্টা আক্রমণে দ্বিধা করবে না।'
তিনি আরো বলেছেন, হংকংয়ে জারি করা নতুন 'জাতীয় সুরক্ষা আইন' চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটাতে হস্তক্ষেপ করা কিছুতেই নেবে না বেইজিং। এই নিষেধাজ্ঞা মার্কিন-চীন সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।'
বৃহস্পতিবার চীনের ’রাবার-স্ট্যাম্প’ আইনসভা দ্য ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস বেইজিংয়ের বার্ষিক অধিবেশনে খসড়া সিদ্ধান্তটির (আইন) অনুমোদন দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকিকে তোয়াক্কা না করে এটা করা হয়েছে। সূত্র- আল আরাবিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।