গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
“তামাক কোম্পানীর কূটচাল রুখে দাও, তামাক ও নিকোটিন থেকে তরুণদের বাঁচাও” এই প্রতিপাদ্যে আজ রোববার (৩১ মে) বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। আর এ বছর বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে অনন্য অবদান রাখার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষ স্বীকৃতি পুরষ্কার পেয়েছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২০ উপলক্ষে এটি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
তামাকের ব্যবহার প্রতিরোধমূলক মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ এবং বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর প্রায় ৯ মিলিয়ন মানুষ মারা যাচ্ছে তামাকজনিত রোগে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে এটি প্রায় ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন। কারণ এই অঞ্চলে তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার সর্বাধিক। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে-২০১৭ অনুসারে বাংলাদেশে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করছে। আর তামাকজাত পণ্য ব্যবহার ক্যান্সার, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগ এবং ডায়বেটিসসহ বিভিন্ন অ-সংক্রমণ রোগের মূল কারণ। তামাক কোম্পানির অন্যতম টার্গেট তরুণ সমাজ। কারণ তরুণ সমাজকে তামাক ব্যবহারকারী হিসেবে একবার তৈরি করতে পারলে তামাক কোম্পানি দীর্ঘমেয়াদি গ্রাহক পেয়ে যায় এবং তরুণদের লক্ষ্য করেই চালাচ্ছে বিভিন্ন অপ-প্রচার, প্রয়োগ করছে বিভিন্ন কূট-কৌশল। এমনকি রেহাই দিচ্ছে না শিশু-কিশোরদের। গ্লোবাল ইয়ুথ টোব্যাকো সার্ভে-২০১৩ এ দেখা যায়, ৫২ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী বিভিন্ন তামাকজাত পণ্য বিক্রয় কেন্দ্রে তামাকজাত পণ্যের প্রমোশন দেখতে পায়। এ ছাড়াও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন পরিচালিত একটি জরিপ বিগ টোব্যাকো টাইনি টার্গেট-এ দেখা গেছে, প্রায় ১০০ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত পণ্য বিক্রয় হয় এবং প্রায় ৮২ শতাংশ বিক্রয় কেন্দ্রে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শিত হয় শিশুদের দৃষ্টি সীমানার মধ্যে।
উল্লেখ্য, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ১৯৯০ সাল থেকে তামাকবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য জনসাধারনকে পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা, তামাক কোম্পানির কূটচাল থেকে শিশু-কিশোর ও তরুণ সমাজকে রক্ষা করে একটি তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা। এলক্ষ্যে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলÑ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ প্রণয়ন ও ২০১৩ সালে সংশোধনে নীতিনিধারকদের সাথে এডভোকেসী করা। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমনÑ স্থানীয় সরকার বিভাগ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলসহ অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রেস্তোরাঁসমূহের জন্য তামাক ও ধূমপানমুক্তকরণ গাইডলাইন/নির্দেশিকা প্রণয়নে সহায়তা প্রদান করে। এছাড়াও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে দক্ষতা বৃদ্ধি ও জনসচেতনা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।