রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে
আশাশুনি উপজেলার শ্রীপুর-কুড়িকাহুনিয়া তা’লিমুল কুরআন হাফিজিয়া ও ফোরকানিয়া মাদরাসার সামনে ঘেরাবেড়া দিয়ে দখল করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে মাদরাসার স্বাভাবিক পরিবেশ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হওয়ায় মাদরাসা পরিচালনা কষ্টকর ও এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কুড়িকাহুনিয়া মৌজায় এসএ ১৫৩ নং খতিয়ানে ৪৬৮, ৪৬৯, ৪৭০ (একটি প্লট (.৫৬+.২০+.৪৪=) ১.২০ একর + ৪৭৭, ৪৮০ ও ৪৮১ দাগে (আরেকটি প্লট .৫৬+.১২+.২৫=).৯৩ একর মোট ২.১৩ একর জমির মালিক একই গ্রামের জোনাব আলি বিশ্বাস, ওয়াজেদ আলি বিশ্বাস ও আয়েশা খাতুন ৩ ভাইবোন। ওয়াজেদ আলি তার প্রাপ্য ৬টি দাগের ১/২ অংশ (১.০৬) বিক্রি করেন আঃ ওহাব ঢালী দিং নিকট। জোনাব আলী কোন জমি বিক্রি করেননি। তার (জোনাব আলি) মৃত্যুর পর তার দু’ই ছেলে আলহাজ্ব রজব আলি বিশ্বাস, আলহাজ্ব এএম রিয়াছাত আলি বিশ্বাস ও কন্যা জাহানারা হোসেন জমির মালিক হন। তারা তাদের অংশের মধ্য হতে ৪৬৮ দাগের ১৩ শতক জমি “রাহিলা আলী এতিমখানা, তালীমুল কুরআন হাফিজিয়া মাদরাসা ও দারুল ইহছান সামজ কল্যাণ সংস্থার কাজে ব্যবহারের জন্য পরিচালক, আইডিয়াল স্যোসাল অর্গানাইজেশান (আইএসও)-এর বরাবর রেজিস্ট্র্রি দানপত্র করেন ৮/৩/২০০৩ তারিখ। ঐ জমিতে চিহ্নিত স্থানে সেই থেকে মাদরাসা নির্মাণ করে পরিচালিত হয়ে আসছে। বিগত হাল জরিপের সময় ওয়াজেদ আলি বিশ্বাসের নিকট থেকে ক্রয়কারী আঃ ওহাব ঢালী দিং ৬টি দাগের স্থলে কেবলমাত্র ৪৬৮, ৪৬৯ ও ৪৭০ দাগে (৬ দাগের প্রাপ্য সমুদয় জমি) ১.০৭ একর জমি রেকর্ড করিয়েছেন। পরবর্তীতে তারা (অন্য পক্ষ) জানতে পেরে উক্ত মৌজার ট্রাইব্যুনালে সংশোধন করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু দীর্ঘকাল পরে অন্য প্লটে জমির দখল থাকার পরও আঃ ওহাব দিং মাদরাসার সামনের জমিতে জোরপূর্বক দখল নেয়ার উদ্যোগ নিলে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ, দাতাপক্ষ ও গ্রামবাসী বাধা দেয়। কিন্তু তারা কোন বাধা না শুনে গত ১৮ জুলাই মাদরাসা ঘরের একেবারে সামনে থেকে রাস্তা পর্যন্ত সম্পূর্ণ অংশে ঘেরাবেড়া দিয়ে দখল করে নেয় এবং ২০ জুলাই সেখানে গাছের চারা রোপণ করে দখল পাকাপোক্ত করার প্রয়াস চালায়। ফলে মাদরাসার হেফজখানার ১৫জন শিক্ষার্থী এবং ফোরকানিয়া শাখার ৬০জন কোমলপ্রাণ শিক্ষার্থীকে কিছুটা অবরুদ্ধ অবস্থায় এবং মাদরাসার পরিবেশকে ধ্বংস করে দেয়ার সূচনা করা হয়েছে। এলাকাবাসী ও দাতারা জানান, দাতা আলহাজ্ব রিয়াছাত আলি বিশ্বাসের (সাবেক এমপি) মৃত্যুর পর তাদের স্বপ্নকে নস্যাৎ করতে ৬টি দাগের দু’টি প্লটের অর্ধেকাংশের ক্রয় সূত্রে মালিক হওয়া সত্ত্বে¡ও ৩টি দাগের একপ্লটে (প্রাপ্য সমুদয় জমির) দখল নেয়ার ঘটনায় তারা (এলাকাবাসী) হতবাক হয়ে পড়েছেন। এ ব্যাপারে তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। প্রতিপক্ষ আঃ ওহাব, আঃ রাজ্জাক ও আবু বক্কর জানান, তারা ১৯৭৯ সালে অজেদ আলি বিশ্বাসের নিকট খেকে জমি ক্রয় করেন। আইএসও এর মাদারাসার সামনের জমির আমাদের প্রাপ্য অংশ তারা ৫৫৪ ও ৫৫৫ দাগে বুঝিয়ে দেয় কিন্তু আইএসওর পক্ষ থেকে আমাদেরকে জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়নি, বিধায় রেকর্ডীয় জমিতে দখল নিয়েছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।