Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাবেক তারকা ফুটবলার হেলাল আর নেই

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২০, ৩:০৯ পিএম | আপডেট : ৬:১২ পিএম, ৩০ মে, ২০২০

জাতীয় ফুটবল দল ও ঢাকা আবাহনীর সাবেক তারকা ফুটবলার এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য, দেশের ক্রীড়া অঙ্গনের পরিচিত মুখ গোলাম রাব্বানী হেলাল আর নেই। আজ (শনিবার) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হলে ২৮ মে (বৃহস্পতিবার) স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল হেলালকে। তখনই চিকিৎসকরা বলেছিলেন তার সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর কাছে হেরেই গেলেন জাতীয় দলের সাবেক এই ফুটবলার। পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে। আবাহনীর সাবেক ফুটবলার ও জাতীয় দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু জানান, শনিবার বাদ আসর আবাহনী ক্লাবে হেলালের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেখান থেকে বাফুফে ভবনে আনা হয় তার লাশ। এখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয় বাংলাদেশের ‘সোনালি প্রজন্মের’ ফুটবলার হেলালকে।

বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন হেলাল। কয়েক বছর আগে হৃদযন্ত্রে সমস্যা হয়েছিল সাবেক তার। কিডনিতেও সমস্যা ছিল। কিডনি সমস্যায় ব্যাংককে চিকিৎসাও নেন। সেই থেকে ডায়ালাইসিস চলছিল সাবেক এই তারকা ফুটবলারের। গত বৃহস্পতিবার সকালেই তার ডায়ালাইসিস নিতে হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল। হাসপাতালে গেলেন ঠিকই তবে আর ফিরলেন না। বৃহস্পতিবার সকালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হেলাল।

জাতীয় দল এবং ঢাকা আবাহনীর পরিচিত মুখ ছিলেন গোলাম রাব্বানী হেলাল। ঢাকা লিগে বিজেএমসিতে কিছুদিন খেলেছেন, তবে ক্যারিয়ারের পুরো সময়ই ছিলেন আবাহনীতে। গোলাম রাব্বানী হেলাল উঠে আসেন বরিশাল থেকে। হয়ে উঠেন ‘আবাহনীর হেলাল’। আবাহনীতে একটানা খেলেছেন ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত। খেলা ছেড়ে আবাহনীর পরিচালক হন। দায়িত্ব পালন করেন টিম ম্যানেজারেরও। মরহুম গোলাম রাব্বানী হেলাল বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন ২০০৮ সালে।

১৯৭৮ সালে হেলাল ঢাকায় এশীয় যুব ফুটবল দলের সদস্য থাকলেও মূল জাতীয় দলে তার অভিষেক হয়েছিল ১৯৭৯ সালে। সুনামের সঙ্গেই জাতীয় দলে খেলেন ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত।

১৯৮২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে মাঠের গন্ডগোলের সূত্র ধরে আবাহনীর যে চার ফুটবলারকে জেলে নেওয়া হয়েছিল হেলাল তাদেরই একজন। বাকি তিনজন কাজী মো. সালাউদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন চুন্নু ও কাজী আনোয়ার। হেলালের চলে যাওয়ায় আজ তারা সঙ্গিহারা। সাবেক ফুটবলার হেলালের মৃত্যুতে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন, বাফুফে, ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ঢাকা আবাহনী লিমিটেডসহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠন গভীর শোক প্রকাশ করেছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ