Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণাঞ্চলে ২৪ ঘণ্টায় নতুন সনাক্ত আরো ২৬

বরিশাল মহানগরীতে করেনা আক্রান্তের হার উদ্বেগজনক পর্যায়ে

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০২০, ১:০৪ পিএম

বরিশাল মহানগরী ‘কোভিড-১৯’এর অনেকটাই হটস্পট হয়ে উঠছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণে দক্ষিণাঞ্চলে পরিস্থিতিও ক্রমশ উদ্বেগজনক পর্যায়ে। ইতোমধ্যে বরিশাল মহানগরীতে আক্রান্তের সংখ্যা দেড়শতে পৌঁছেছে। এর মধ্যে মহানগর পুলিশ সদস্যই প্রায় ৪৫। তবে বরিশাল বিভাগে মোট আক্রান্ত ৪৫৮’র মধ্যে ইতোমধ্যে ১৩৪ জন সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়েছে বলে জানা গেছে। গত এক সপ্তাহে দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে ১২৬ জন করেনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এসময়ে কোভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ভোলার লালমোহনে মারা গেছে ৩জন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ’তে মারা যাওয়া পুলিশ কনেস্টবলের রক্তের নমুনা পরিক্ষার ফলাফাল এখনো পাওয়া যায়নি।

দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলায় কোভিড-১৯ সনাক্ত সাড়ে ৪শ রোগীর মধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত ১৪৭ জনের মধ্যে ২৬ জনের মারা গেছেন। যাদের ৩ জনের রক্ত পরিক্ষার ফল এখনো পাওয়া যায়নি। অপরদিকে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত ৫৭ জনের মধ্যে মারা গেছেন ৩জন। গত ২৪ ঘন্টায় বরগুনাতে আরো দুজন কোভিড-১৯ রোগী সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছ। এনিয়ে জেলাটিতে আক্রান্ত ৫৪ রোগীর মধ্যে ৩০জন সুস্থ্য হয়েছেন বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে।

তবে গত ১০ মে লক ডাউন শিথিল করার পর থেকে ২৯ মে পর্যন্ত কুড়ি দিনে দক্ষিণাঞ্চলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৯। অথচ গত ১০ মার্চ থেকে ১০ মে পর্যন্ত ষাট দিনে মোট আক্রান্ত ছিল ১৪৯। গত এক সপ্তাহে বরিশাল জেলায় মোট আক্রান্ত ১৩৭ থেকে ২০৮, ভোলাতে ১৮ থেকে ৪২, পিরোজপুরে ৫৩ থেকে ৬৩, ঝালকাঠীতে ৩৪ থেকে ৪৪, বরগুনাতে ৪৯ থেকে ৫৪, ও পটুয়াখালীতে ৪১ থেকে ৪৭-এ উন্নীত হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে আরো ২৬জন আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে বরিশাল জেলাতেই ১৪, ভোলাতে ৯ এবং পটুয়াখালীতে ৩জন নতুন কোভিড-১৯ রোগী সনাক্ত হয়েছে। তবে এর আগেরদিন দক্ষিণাঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্য ছিল ২৪ ঘন্টায় সর্বাধীক, ২৭জন। শুক্রবার বরিশালে আক্রান্তদের মধ্যেও সিংহভাগই পুলিশ সদস্য।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে দেড়মাস আগে নারায়নগঞ্জ থেকে চোরাই পথে আসা কর্মজীবী ও শ্রমজীবীদের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলে প্রথম করেনা সংক্রমন শুরু হয় । ১০মে লকডাউন শিথিল করার পরে পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে। আর ঈদের তিনদিন আগে ঢাকা ও সন্নিহিত এলাকার জনশ্রোতে দক্ষিণাঞ্চলে করেনা সংক্রমন আরো বড় ঝুকি সৃষ্টি করেছে। ফলে আগামী দিন পনের দক্ষিণাঞ্চলে করেনা সংক্রমন কোন পর্যায়ে যাবে তা নিয়ে শংকিত চিকিৎসকগনও।
দক্ষিণাঞ্চলের সরকারী হাসপাতালগুলোতে এপর্যন্ত ১৫৩ জন কোভিড-১৯ রোগী ভর্তি হয়েছেন।

সরকারী হাসপাতালের আইসোলেশন-অবর্জার্ভেশন ওয়ার্ডগুলোতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মোট ভর্তিকৃত ৫২৬ জন রোগীর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৮৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ও করেনা ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত ৩জন রোগীর রক্তের নমুনা পরিক্ষায় দুজনের কোভিড-১৯ সনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে হাসপাতালটির উল্লেখিত দুটি ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত ১৯৭ রোগীর রক্তের নমুনা পরিক্ষায় ৫৪ জনের কোভিড-১৯ সনাক্ত হল। আর নেগেটিভ ফল এসেছে ১৪৩ জনের। শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করেনা ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত ৫৭ জনের মধ্যে ২৬জন সুস্থ্য হয়ে ঘরে ফিরেছেন। তবে শুক্রবার রেকর্ড সংখ্যক ২৩ জন রোগী হাসপাতালটির করেনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা ভাইরাস

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৬ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ