বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চকরিয়া উপজেলায় করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনে চালু করা হয়েছে ৫০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড। তবে আইসোলেশন ওয়ার্ডের চিকিৎসা-খাবার ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ে রোগীদের অভিযোগের অন্ত নেই।
চকরিয়ায় (২৮ মে) পর্যন্ত ১৫৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৯ জন। বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬০ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৩ জন।
আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে দুইজন। নার্স রয়েছেন তিনজন।অভিযোগ উঠেছে, ভর্তির পর রোগীদের খোঁজ-খবর নেন না চিকিৎসক-নার্সরা। আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভিজিটে যান না চিকিৎসক-নার্সরা।
হাসপাতালের আইসোলেশনে রোগী আসলে তাদেরকে শুধুমাত্র কয়েকটি ওষুধ দিয়েই দায়সারাভাবে শেষ করছেন তাদের কাজ। এরপর আর কোনো খবর রাখেন না করোনা আক্রান্ত রোগীদের বিষয়ে।
শুধু সকাল-বিকেল ও রাতে তাদের খাবার সরবরাহ করা হয়। সারাদিনের মধ্যে একবারও চিকিৎসক বা নার্স রোগীদের দেখতে বা খবর নিতে যায় না। রোগীদের যে খাবার সরবরাহ করা হয় তা নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। এসব খাবার নাকি খুবই নিম্ন মানের।
আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা রোগী গোলাম মোস্তফা পারভেজ ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি লিখেন 'চকরিয়া হাসপাতালে বিদ্যুৎ নেই। আইসোলেশনেও বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ চলে গেলে গরমে গা ভিজে যায়। কিন্তু আইসোলেশন পরিবেশ অনেক সুন্দর, অনেক ভালো। খাবারের কথা বলে লাভ নেই, না খেয়ে মাঝে মাঝে ফেলে দিতে হয়। একসঙ্গে আটটি ওষুধ খেতে হয় দিনে দুইবার। বাকি সব ঠিকঠাক আছে। একেই বলে আইসোলেশন'।
চকরিয়ার ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ এ প্রসঙ্গে বলেন, ফেসবুকে লেখা কয়েকটি বিষয় আমার নজরে এসেছে। খাবারের মান উন্নয়নের বিষয় ছাড়াও দিনে অন্তত একবার হলেও চিকিৎসক অথবা নার্সরা যেন আইসোলেশন ওয়ার্ড ভিজিট করেন সে বিষয় নিয়ে হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলবো।
তিনি আরো বলেন, হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের জন্য একটি জেনারেটরের ব্যবস্থার চেষ্টা করছি। ভবনটির কাজ এখনো চলমান। তাই অনেক কাজ বাকি রয়েছে। চেষ্টা করছি করোনা রোগীদের চিকিৎসাসহ নানা বিষয়কে একটা সুন্দর পরিকল্পনার মধ্যে নিয়ে আসতে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের এমপি জাফর আলম বলেন, হাসপাতালের নানা সমস্যার বিষয় আমার কানে আসে। আমি আইসোলেশনে থাকা রোগীদের খাবারের মান উন্নয়নের জন্য ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে টাকা দিতে চাইলেও সে টাকা নেননি হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা ডা. শাহবাজ।
এমপি আরো বলেন, আমি একটি জেনারেটরের ব্যবস্থা করে দিবো। খুব শিগগির আইসোলেশন ওয়ার্ডে এটি স্থাপন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।