মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা এক ভয়াবহ মাইলফলকে পৌঁছেছে। মাত্র চারমাসের মধ্যেই অত্যন্ত সংক্রামক এই ভাইরাসজনিত রোগটিতে সেখানে মোট ১ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে আক্রান্ত অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের বিশ্লেষণ অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন ১৭ লাখেরও বেশি মানুষ, যা বিশ্বের মোট সংক্রমণের প্রায় ৩০ শতাংশ। তাদের মধ্যে ৬ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন রাজ্যে প্রথম সংক্রমণের কথা জানা গিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যাটি কোরিয়া, ভিয়েতনাম, ইরাক ও আফগানিস্তানে ৪৪ বছরেরও বেশি সময়ের লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর যত লোক নিহত হয়েছে তার প্রায় সমান বলে জানিয়েছেন বিবিসি উত্তর আমেরিকার সম্পাদক জন সোপল। তবে মৃত্যুর হারের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেলজিয়াম, স্পেন, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, সুইডেন, নেদারল্যান্ড ও আয়াল্যান্ডের পরে আছে বলে জানাচ্ছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গেল সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি রাজ্য নতুন আক্রান্ত বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে। যেসব রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সেগুলোর মধ্যে নর্থ ক্যারোলাইনা, উইসকনসিন ও আরক্যানসও আছে। শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলস ও ওয়াশিংটন ডিসির মতো মেট্রোপলিটন এলাকাগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। তবে নিউ ইয়র্কসহ প্রাদুর্ভাব জর্জরিত কিছু রাজ্যে মৃত্যুর হার কমে এসেছে।
সরকার পদক্ষেপ নিতে দেরি করেছে এমন সমালোচনা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তার প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে মৃত্যুর সংখ্যা ২৫ গুণ বেশি হতো। নার্সিং হোমগুলোর জন্য ভাইরাসটি কতোটা প্রাণঘাতী হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোর গর্ভনররা তা উপলব্ধি করতে পারেননি বলেও সমালোচনা আছে।
প্রথমদিকে ট্রাম্প মহামারীটিকে তেমন গুরুত্ব দেননি, এটিকে মৌসুমি ফ্লু-র সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। ভাইরাসটি যুক্তরাষ্ট্রের ‘নিয়ন্ত্রণে আছে’ বলে ফেব্রæয়ারিতে দাবি করেছিলেন আর এপ্রিলে ভাইরাসটি ‘দৈবক্রমে চলে যেতে পারে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। প্রথমে ট্রাম্পের অনুমান ছিল, ৫০ থেকে ৬০ হাজার লোক মারা যাবে, পরে ৬০ থেকে ৭০ হাজার আর এরপর ‘এক লাখের নিচে থাকবে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।
শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস আক্রান্তে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষে থাকাটা ‘সম্মানের বিষয়’ বলেও চলতি মাসে যুক্তি দেখিয়েছিলেন রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্ট, এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছিলেন, ‘এর মানে হচ্ছে আমাদের পরীক্ষার মান অনেক উন্নত।’ নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র আরও আগে পদক্ষেপ নিলে প্রায় ৩৬ হাজার লোকের মৃত্যু এড়ানো যেত। সূত্র : এনপিআর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।