Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশের দুই পদক বাড়ছে!

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০২০, ১২:১৪ এএম

গেল ডিসেম্বরে নেপালে সমাপ্ত সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের ১৩তম আসরে পাকিস্তাানি অ্যাথলেটদের ডোপ কেলেঙ্কারির তথ্য বেরিয়ে আসায় পদক সংখ্যা বাড়ছে বাংলাদেশের। গত বছরের ১ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নেপালের কাঠমান্ডু, পোখারা ও জানাকপুরে অনুষ্ঠিত হয় সর্বশেষ এসএ গেমস। দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক খ্যাত এই ক্রীড়া আসরের অ্যাথলেটিক্স ডিসিপ্লিনে বাংলাদেশ পেয়েছিল দু’টি পদক। গেমস শেষ হওয়ার পাকিস্তানের তিন অ্যাথলেট ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় প্রথমে জানা গিয়েছিল, একটি পদক বাড়তে পারে বাংলাদেশের। তবে এখন শোনা যাচ্ছে, একটি নয়, বাংলাদেশের পদক তালিকায় দু’টি ব্রোঞ্জপদক যোগ হতে পারে।
নেপাল এসএ গেমস অ্যাথলেটিক্সে বাংলাদেশ পেয়েছিল একটি রৌপ্য ও একটি ব্রোঞ্জপদক। রৌপ্য পেয়েছিলেন পুরুষ বিভাগের হাইজাম্পে মাহফুজুর রহমান এবং লংজাম্পে আল-আমিন। ওই গেমস শেষ হওয়ার ৬ মাস পর জানা গেল, অ্যাথলেটিক্সে দু’টি ব্রোঞ্জপদক যোগ হবে বাংলাদেশের। আর এটা হলে বাংলাদেশের পদক সংখ্যাও বাড়বে। গেমসের ওই আসরে বাংলাদেশ ১৯ সোনা, ৩২ রুপা ও ৮৭টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১৩৮টি পদক পেয়ে তালিকার পঞ্চমস্থানে জায়গা করে নেয়। এখন দু’টি ব্রোঞ্জপদক বাড়লে ১৯ সোনা, ৩২ রুপা ও ৮৯টি ব্রোঞ্জসহ বাংলাদেশের মোট পদক সংখ্যা ১৪০টি হলেও তালিকায় অবস্থান একই থাকবে।
নেপাল এসএ গেমস অ্যাথলেটদের ডোপ টেস্ট করার পর পাকিস্তানের যে তিনজনের পজিটিভ এসেছে তারা হলেন ১১০ মিটার হার্ডলসে স্বর্ণজয়ী মোহাম্মদ নাঈম, ৪০০ মিটার হার্ডলসে স্বর্ণজয়ী মেহবুব আলী ও ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ব্রোঞ্জজয়ী সামি উল্লাহ।
পাকিস্তান চার গুণিতক ১০০ মিটার ও চার গুণিতক ৪০০ মিটার রিলেতে পেয়েছিল ব্রোঞ্জপদক। এই দুই ইভেন্টে বাংলাদেশ হয়েছিল চতুর্থ। পাকিস্তানের দু’টি রিলে দলেই ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়া অ্যাথলেটরা ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী ডোপ টেস্টে কেউ পজিটিভ হলে ৪ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হবেন এবং তার পদক কেড়ে নেয়া হবে। সেক্ষেত্রে চার গুণিতক ১০০ মিটার রিলেতে হাসান আলী, মোহাম্মদ ইসমাইল, আবদুর রউফ ও সাইফুল ইসলাম এবং চার গুণিতক ৪০০ মিটার রিলেতে জহির রায়হান, আবু তালেব, মাসুদ রানা ও সাইফুল ইসলামদের নাম উঠবে পদকের তালিকায়।
বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘তথ্যটি জানার পর আমরা বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনেকে (বিওএ) জানিয়েছি। এখন তারাই বিষয়টা দেখবে। আমরা জানি কোন অ্যাথলেট ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে সে ৪ বছর নিষিদ্ধ হবে। এবং সে যদি কোন পদক পায় তাহলে সেটা বাতিল হবে।’
বিওএ সূত্র জানায়, ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি সাউথ এশিয়ান অলিম্পিক কমিটিকে জানাবে আয়োজকরা। সাউথ এশিয়ান অলিম্পিক কমিটির সভায় এ ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। যদি ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়া অ্যাথলেটদের রেজাল্ট বাতিল করে সাউথ এশিয়ান অলিম্পিক কমিটি, তাহলে অ্যাথলেটিক্সে বাংলাদেশের দু’টি ব্রোঞ্জপদক বাড়বে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ