বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের ছিকটি বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ও তার ভোটার সুশিক্ষিত অসহায় নুপুর বিশ্বাস তার অসহয়ত্বের কথা প্রকাশ করে চাকুরীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি লিখেছেন।
চিঠির কথা হল-
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,জননেত্রী শেখ হাসিনা, আমার নমস্কার নিবেন। অত্যন্ত দুঃখ-কষ্ট ও হাতাশা নিয়ে আপনার কাছে একটি খোলা চিঠি লিখছি। আপনার নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ার ছিকটি বাড়ি গ্রামের এক কৃষক পরিবারের সন্তান আমি। বাবা-কালিদাস বিশ্বাস ও মা-মলিনা বিশ্বাস। দুই ভাইবোনের মধ্যে আমি বড়।
ছোট বেলা থেকেই মানুষ নানান সপ্ন দেখে। ঠিক আমিও সপ্ন দেখেছিলাম বড় হয়ে লেখা পড়া শিখে রাজনীতি-সামাজিকতার পাশাপাশি একটি সরকারী জব করবো। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বেশ কিছু দিন যাবত কিন্ত কোনভাবেই সরকারী চাকুরী মিলছেনা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি একজন নারী। আমি যতোটুকু জানি নারীদের বিভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেন আপনি। এমনকি সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়েও নারীদের স্থান করে দিয়েছেন।
আমার এসএসসিতে জিপিএ-৩.৯৪ ও এইচএসসিতে ৩.২০। বাংলায় অনার্স-৩.১৩ ও মাস্টার্স-এ ৩.২২ জিপিএ পেয়েছি।
কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও ফল মিলে না। আমার চাকরির বয়সও প্রায় শেষ। বাবা-মা ও ছোট ভাইয়ের কষ্ট আর আমার সহ্য হয় না। ছোটবেলা থেকেই দুঃখ-কষ্ট ও অর্থনৈতিক অনটনের মধ্য দিয়েও লেখা-পড়া ছাড়িনি। এক বেলা বা আধপেটা খেয়ে স্কুল-কলেজে গিয়েছি। মা-বাবার প্রেরণা ও আমার অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য এ পর্যন্ত অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন সহ লিখিত পরীক্ষাও দিয়েছি। এর মধ্যে অন্তত ১৫টিরও বেশি মৌখিক পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করেছি। পরীক্ষাও ভালো হয়েছে। কিন্তু আমার ভাগ্যে চাকুরী জোটেনি। তাই মাঝে মধ্যে নিজেকে সামলে রাখতেও কষ্ট হয়। হাতাশায় ভুগি। এমনকি আত্মহত্যার মতো বিষয়টিও মাথায় আসে। কিন্তু মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের কথা চিন্তা করে সব ভুলে যাই। কিন্তু এখন আর কোনো উপায় দেখছি না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমার ও আমার গরীব পরিবারের কথা বিবেচনা করে অন্তত্য পক্ষে একটা চাকরির ব্যবস্থা করুন, প্লিজ। না হলে আমার পরিবারটি টিকবে না, ধুঁকে ধুকে মরবে।
আপনার সদয় দৃষ্টিই পারে একটি অসহায় পরিারের দুঃখ দিনের পরিসমাপ্তি ঘটাতে। অন্যথায় পরিবারের জন্য শেষ পর্যন্ত আমাকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।