মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পশ্চিম ও মধ্য ভারতে একরের পর একর কৃষিজমিতে হামলা করে ফসল ধ্বংস করে চলেছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা মরুভূমির পঙ্গপাল। এর মধ্যেই গত মঙ্গলবার ভারত সরকার প্রায় ৩ দশকের মধ্যে দেশের ভয়াবহতম পঙ্গপালের হামলার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে। ভয়াবহ এই পতঙ্গগুলির গতিবিধি নজরে রাখতে এবং কীটনাশক ছিটাতে আক্রান্ত অঞ্চলে ইতিমধ্যে ড্রোন, ট্রাক্টর ও গাড়ি পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
ভারত সরকারের পঙ্গপাল সতর্কীকরণ সংগঠনের উপ-পরিচালক কেএল গুরজার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের কিছু এলাকায় প্রতি কিলোমিটারে ৮ থেকে ১০টি পঙ্গপালের ঝাঁক সক্রিয় রয়েছে।’ রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে মৌসুমি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে পঙ্গপাল। এতে করোনাভাইরাস লকডাউনের ধকল কাটিয়ে উঠার চেষ্টায় থাকা কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। পতঙ্গগুলি উভয় রাজ্যেই মৌসুমী ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে এবং বহু কৃষককে সর্বসান্ত করে দিয়েছে। জানা গেছে, ইতিমধ্যে ভারতের প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর অর্থাত ১ লাখ ২৫ হাজার একর জমির ফসল ধ্বংস করেছে এই পঙ্গপাল।
গুরজার জানিয়েছেন যে, পঙ্গপালের ছোট ছোট ঝাঁকগুলি ভারতের কয়েকটি প্রধান রাজ্য জুড়ে সক্রিয় রয়েছে। রাজস্থানে প্রবেশের আগে গত এপ্রিলে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের কৃষিক্ষেত্রেও ব্যাপক ফসলহানি ঘটনায় পঙ্গপাল। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা-এফএও জানিয়েছে যে, ৪ কোটি পঙ্গপালের একটি ঝাঁক প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের বা ৬টি হাতির হিসাবে খাদ্য গ্রহন করতে পারে। তারা আরো জানিয়েছে যে, ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঘূর্ণিঝড় গত বছরের গোড়ার দিকে আরব উপদ্বীপ অঞ্চলে পঙ্গপালের নজিরবিহীন প্রজনন এবং দ্রুত সংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
এদিকে, বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, আসছে জুনে আফ্রিকার হর্ন থেকে পাকিস্তান হয়ে ভারতে আরো পঙ্গপাল ঢোকার সম্ভাবনা থাকায় পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। ভারতের পঙ্গপাল সতর্কতা কেন্দ্রটি বলেছে যে, ১৯৯৩ সালের পর থেকে ভারত এত পরিমাণে পঙ্গপাল আর দেখেনি। তারা জানিয়েছে যে, বাতাসের গতিবেগ পঙ্গপালকে ক্রমশ আরো দক্ষিণ-পশ্চিমের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সূত্র: এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।