Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আত্মহত্যা নয় ৯ মুসলিমকে হত্যা করা হয়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০২০, ৩:২০ পিএম

অবশেষে সত্য প্রকাশ পেলো। প্রথমে বেতন না পেয়ে ৯ জনের আত্মহত্যার কথা প্রচার করা হলেও পরে জানা গেলো তারা কেউ আত্মহত্যা করেনি তাদের সবাইকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।

ভারতের তেলেঙ্গানার রাজ্যের একটি কুয়ো থেকে যে ৯ মুসলিমের লাশ করা হয়েছিল তারা সবাই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে সেদেশের পুলিশ।

একজনের খুন চাপা দিতে গিয়ে ওই ৯ জনকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে সঞ্জয়কুমার যাদব নামের এক যুবককে সোমবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের উপকণ্ঠে গোরেকুন্টা গ্রামের একটি কুয়ো থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার হয়। পরদিন শুক্রবার মেলে আরও পাঁচ জনের লাশ।

সেখানে একই পরিবারের মকসুদ, তার স্ত্রী নিশা, দুই ছেলে সোহেল ও শাবাদ, মেয়ে বুশরা খাতুন এবং তিন বছরের নাতি শাকিলের লাশ পাওয়া যায়।

এছাড়া ত্রিপুরার বাসিন্দা শাকিল আহমেদ, বিহারের শ্রীরাম ও শ্যাম নামের আরও তিন শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ৯ জন মধ্যে ৭ জনই এক ব্যাগ কারখানায় কাজ করতেন।

প্রথমে পুলিশ জানায়, বেতন না পেয়ে একই পরিবারের ৬ জনসহ মোট ৯ জন আত্মহত্যা করেছেন।

কিন্তু লাশ উদ্ধারের তিনদিন পর তাদের মৃত্যুর রহস্য সামনে আনলেন তদন্তকারীরা।

পুলিশের দাবি, গত মার্চে এক নারীর হত্যাকাণ্ডকে চাপা দিতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে অভিযুক্ত সঞ্জয়কুমার যাদব।

সে ওই ৯ জনের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিল। তারপর তারা অচেতন হয়ে পড়লে দেহগুলো কুয়োয় ফেলে দেয় সে।

তেলেঙ্গানার গিসুগোন্ডা মণ্ডল গ্রামের এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে মার্চ মাসে নিহত এক নারীর হত্যাকাণ্ড। ওই নারীর সঙ্গে আত্মীয়তা ছিল এই পরিবারের।

ওয়ারাঙ্গাল পুলিশ কমিশনার ভি রবিন্দর জানিয়েছেন, একটা খুনকে চাপা দিতে সে আরও ৯টি খুন করেছে।

জানা গেছে, মকসুদের স্ত্রী সঞ্জয় যাদবকে প্রায়ই হুমকি দিতেন, তিনি ওই নিখোঁজ নারীর বিষয়ে পুলিশকে জানাবেন। বিহার থেকে আগত সঞ্জয় এরপরই খুনের পরিকল্পনা করা শুরু করে।

অভিযুক্ত যুবক খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।



 

Show all comments
  • elu mia ২৮ মে, ২০২০, ৫:১৩ পিএম says : 0
    আমার আগেই সন্দেহ হইছিল।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ