বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাংলাদেশে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছে দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে, যাদের বয়স ৪০ বছরের নিচে।যদিও আক্রান্তের হার বেশি হলেও তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার কম। উল্টো চিত্র বয়স্কদের বেলায়। আক্রান্তের হার কম হলেও তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার বেশি। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) বিশ্লেষণ বলছে, দেশে করোনাভাইরাসে মৃতদের ৮৮ শতাংশের বয়স চল্লিশের ওপরে।
করোনাভাইরাসে দেশে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গতকাল শুক্রবার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে পাঁচজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। দুজনের বয়স ৪০-এর মধ্যে। বাকি ১৬ জনই চল্লিশোর্ধ্ব। এর মধ্যে দুজনের বয়স ছিল ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ছয়জনের বয়স ছিল ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, পাঁচজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, দুজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। শতাংশের হিসাবে দেখা যাচ্ছে, শুক্রবার যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের প্রায় ৬৬ শতাংশের বয়স ছিল ৪০-এর ওপরে। যদিও করোনা সংক্রমণের স্বাভাবিক দিনের তুলনায় গতকাল ৪০-এর কম বয়সী মানুষের মৃত্যুর হার তুলনামূলক বেশি।
শুক্রবার পর্যন্ত দেশে কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩০ হাজার ২০৫ জন। আইইডিসিআরের তথ্য বলছে, সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছেন ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের মানুষ। এই বয়সী মানুষের মধ্যে শনাক্তের হার ২৬ শতাংশ। একইভাবে আক্রান্ত ২৪ শতাংশের বয়স ৩১ থেকে ৪০-এর মধ্যে। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আছে আরো ৮ শতাংশ আক্রান্ত। ৩ শতাংশ আক্রান্তের বয়স ১০ বছরের নিচে। আক্রান্তদের মধ্যে চল্লিশ বছরের মানুষের হার ৬১ শতাংশ। অর্থাৎ দেশের সাড়ে ১৮ হাজারের বেশি করোনা রোগীর বয়স ৪০ বছরের কম।
করোনাভাইরাসে ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সীদের শনাক্তের হার ১৮ শতাংশ। একইভাবে ৫১-৬০ বছর বয়সীদের মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৩ শতাংশ। আর ৮ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের ওপরে। সব মিলিয়ে দেশে ৪০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার ৩৯ শতাংশ। এ হিসাবে দেশের প্রায় ১২ হাজার করোনা রোগীর বয়স ৪০ বছরের বেশি।
আক্রান্তে শীর্ষে থাকলেও ৪০ বছরের কম বয়সী মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার মাত্র ১২ শতাংশ। আইইডিসিআরের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, ৪০-এর নিচে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের। তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার ৭ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে মৃতুর হার ৩ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছর বয়সীদের মধ্যে মৃত্যুর হার শূন্য। ১০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে মৃত্যুর হার ২ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত দেশে ৪৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ হিসাবে গতকাল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে যারা মারা গেছেন, তাদের ৫২ জনের বয়স ৪০ বছরের নিচে।
আক্রান্ত মানুষের বয়স যত বেশি, তাদের মৃত্যুঝুঁকিও বেশি—এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে আইইডিসিআরের বিশ্লেষণে। সংস্থাটির বিশ্লেষণ বলছে, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সীদের মধ্যে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার ১৯ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের মধ্যে মৃত্যুর হার ২৭ শতাংশ। ৬০ বা তার চেয়ে বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার ৪২ শতাংশ। শুক্রবার পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে প্রায় ৩৮০ জনের বয়স ছিল ৪০ বছরের ওপরে।
আইইডিসিআর বলছে, বাংলাদেশে নারীদের তুলনায় পুরষদের করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেশি। করোনা সংক্রমণে পুরুষদের হার ৬৮ শতাংশ। বিপরীতে আক্রান্ত নারীদের হার ৩২ শতাংশ। মৃত্যুর গ্রাফে নারী-পুরুষের এই ব্যবধানটি আরো প্রকট হয়েছে। পুরুষদের মধ্যে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার ৭৩ শতাংশ। নারীদের মধ্যে এ হার ২৭ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।